নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:
গোয়ার আরপোরায় নাইট ক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যু। অধিকাংশই পর্যটক। ওড়িশার ভুবনেশ্বরে বারে আগুন লেগে একই ধরনের দুর্ঘটনা। দুই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। যাতে কোনওভাবেই পশ্চিমবঙ্গে এমন বিপর্যয় না ঘটে, তাই পর্যটক-নির্ভর জেলা হিসেবে পুরুলিয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ পাঠিয়েছে রাজ্য।
সেই নির্দেশ মানতেই পুরুলিয়া জেলা পুলিশ বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনে উদ্যোগী হয়েছে। পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারির নেতৃত্বে জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে একাধিক টিম তৈরি করা হচ্ছে। দলে থাকবেন পুলিশ, দমকল, রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি, পূর্ত (বিদ্যুৎ) দপ্তরের আধিকারিকরা। খুব শিগগিরিই টিমগুলি কাজ শুরু করবে।

টাস্ক ফোর্সের কাজ কী? হোটেল, লজ, রিসর্ট, রেস্তোরাঁ, বার, শপিং মল, কমপ্লেক্সসহ জনবহুল স্থানে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র, পর্যটক আবাস, অতিথি আবাসেও পরিকাঠামোর নিরাপত্তা মানা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখবে তারা।
শুক্রবার পুরুলিয়া জেলা পুলিশ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারির নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। তিনি বলেন, “নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ এসেছে। একাধিক টিম গঠন করে জেলায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।”

জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন ছিল। শহরের বহু রেস্তোরাঁ ও শপিং মলেও বিধি মেনে অগ্নি–নিরাপত্তা নেই। দমকল ও পুরসভার সতর্কতা সত্ত্বেও পরিস্থিতির তেমন বদল হয়নি। তবে এবার পুলিশ তত্ত্বাবধানে টাস্ক ফোর্স গঠন হওয়ায় কড়াকড়ি বাড়বে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। কোথাও বিধিভঙ্গ ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেবে টিম। এ ছাড়া জেলা জুড়ে প্রতিটি মহকুমায় পুলিশ কর্মীদের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার মতো হাতেকলমে প্রাথমিক দক্ষতা শেখাতে প্রশিক্ষণও দেবে দমকল বিভাগ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) উৎকর্ষ সিং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সিনহা রায়, দমকল বিভাগের আধিকারিকরা এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার প্রতিনিধিরা।










Post Comment