নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর:
বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে এসেও
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে রাজনীতি বাদ গেল না। শুক্রবার বিকালে তিনি জয়পুরে দলীয় বিধায়ক নরহরি মাহাতোর বাড়িতে তাঁর মেয়ের অনুষ্ঠানে আসেন। সেখানে শুভেন্দু অধিকারি দাবি করলেন, “হুমায়ুন কবীরের বেলডাঙায় মসজিদ তৈরিতে আপত্তি নেই, কিন্তু বাবরি নামকরণকে কোনও রাষ্ট্রবাদী ভারতীয় সমর্থন করতে পারে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ বিতর্কিত নামে শিলান্যাসের অনুমতি দেবে। আর ঠিক সেই দিনই “রামভক্ত হিন্দুরা পালন করবে শৌর্য্য দিবস”।
হুমায়ুন কবীর প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “ইসলামরা মসজিদ বানাবে, হিন্দুরা মন্দির, খ্রিস্টানরা চার্চ, শিখরা গুরুদ্বারা—এতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু যারা আক্রমণ করে দেশ দখল করেছিল, তাদের নামে কোনও ধর্মীয় স্থান স্থাপন হলে আপত্তি রয়েছে”।
তাঁর অভিযোগ, “মুঘল-পাঠানরা অত্যাচার করেছে, মন্দির ভেঙেছে, জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করিয়েছে। তাই বাবরি নামকরণ কোনও ভারতীয় সমর্থন করে না।”
তিনি আরও দাবি করেন, ” তৃণমূলের হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করা লোক দেখানো। যাতে হিন্দু ভোটারদের বিভ্রান্ত করা যায়।”
বাংলায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “২০০৪ থেকে ২০১৪–র ইউপিএ জমানায় রাজ্যকে ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। মোদি সরকারের আমলে ৮ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তাঁর দাবি, বিভিন্ন প্রকল্পে গরমিলের তদন্ত শেষ হলে চোরদের কাছ থেকে সব টাকা উদ্ধারে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।
বিজেপি ক্ষমতায় এলে ১০০ দিনের কাজে ২০০ দিনের কাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সাম্প্রতিক রায় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।











Post Comment