নিজস্ব প্রতিনিধি , বান্দোয়ান:
চেলা কাঠ দিয়ে নিজের মা’কে পিটিয়ে খুন করেছিল ছেলে। তিন বছর ধরে বিচার চলার পর দোষী সাব্যস্ত হলো মাতৃহন্তা সুশীল ওরফে চেপা কর্মকার।
২০২১ সালের ২৭ মার্চ। কোভিড অতিমারির সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়েছে। এমন সময় সম্পূর্ণ অন্য এক ঘটনা ঘটল পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানার কাররু গ্রামের খেড়িয়াবাদার টোলায়। জমি সংক্রান্ত ঝামেলার জেরে রাগের বশে চেলা কাঠ দিয়ে নিজের মা পান্তুমুনি কর্মকারকে পিটিয়ে খুন করেছিল বড়ো ছেলে। রাত হয়ে গিয়েছিল তখন। সেই রাতেই পান্তুমুনিকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকের আর কিছু করার ছিল মা ওই মহিলাকে মৃত ঘোষণা করা ছাড়া। পরের দিন মৃতার ছোট ছেলে হারা কর্মকার দাদার বিরুদ্ধে বান্দোয়ান থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তাকে আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। মার্ডার ওয়েপন রক্তমাখা সেই চেলা কাঠ উদ্ধার হয়। এই মামলায় তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর নিখিল প্রতাপ সিং। ঘটনার ৮৩ দিনের মাথায় তিনি আদালতে চার্জশিট জমা দেন। শুরু হয় কাস্টডি ট্রায়াল। টানা তিন বছর ধরে চলে মামলা। বুধবার পুরুলিয়া জেলা আদালতের তৃতীয় দায়রা বিচারক সৌমেন সরকার অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই মামলার সরকারি আইনজীবী বিপ্লব সেন জানান,” অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করার পর বৃহস্পতিবার তাকে দশ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।”
Post Comment