দেবীলাল মাহাতো, আড়শা :

অবশেষে ধরা পড়লো আড়শায় সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী হনুমানটি। বনদপ্তরের শত চেষ্টাতেও এতদিন অধরা থেকে গিয়েছিল হনুমানটি। বার বার ব্যর্থ হচ্ছিল বনদপ্তরের কর্মীদের হনুমান ধরার প্রচেষ্টা। দিনদিন আতঙ্ক বাড়ছিল এলাকায়। এদিন হনুমানটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে ধরতে সফল হন বনকর্মীরা। তাতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন আড়শা ব্লকের তুম্বাঝালদা ও বামুনডিহা গ্রামের বাসিন্দারা।
দুর্গাপুজার এক সপ্তাহ আগে থেকে আড়শা ব্লকের তুম্বাঝালদা ও বামুনডিহা গ্রামের বাসিন্দাদের আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে বীর হনুমানটি। ইতিমধ্যেই হনুমানের কামড়ে জখম হয়েছেন ১৫ জন গ্রামবাসী । হনুমানটিকে ধরার জন্য এলাকায় পাতা হয়েছিল খাঁচা। তাতে কাজ না হওয়ায় কালীপূজার আগে হনুমানটিকে ধরার জন্য নিয়ে আসা হয় বিশেষভাবে পারদর্শী কর্মীদের। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে হনুমানটিকে ধরার ছক কষা হয় । কিন্তু তাকে ধরা যায়নি। এদিকে তুম্বাঝালদা গ্রামে আত্মীয় বাড়ি আসার সময় ঝাড়খন্ডের এক যুবক হনুমানটির কামড়ে জখম হন। তারপরেই গ্রামবাসীদের একাংশ ঘোষণা করেন – হনুমানটি ধরতে পারলেই পুরস্কৃত করা হবে নগদ টাকা দিয়ে। রবিবার হনুমানটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লেও, তাকে ধরা যায়নি। রবিবার বিকালে বর্ধমান বনবিভাগ থেকে এসে পৌঁছান ঘুম পাড়ানি করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ দুই সদস্যের দল। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় আবার অভিযান । প্রথমে বনদপ্তরের কর্মীরা তন্নতন্ন করে খুঁজে বেড়ালেও হনুমানটিকে দেখতে পাননি। অবশেষে দুপুর একটার সময় তাকে দেখতে পাওয়া যায়। ছক কষেন বনদপ্তরের কর্মীরা। পজিশন নেন বর্ধমান বনবিভাগ থেকে আগত শ্যুটার বাঙালি দোশাদ। প্রথমে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লেও তা লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয় বার গুলি ছুঁড়তেই ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয় হনুমানটি। তারপরেই তাকে জাল বন্দি করা হয়। সেখান থেকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় আড়শা বনদপ্তরে । আড়শা রেঞ্জ আধিকারিক আনোয়ার সাদাত বলেন, ” শেষ পর্যন্ত হনুমানটি ধরা পড়ায়,আমরা খুশি। স্বস্তিতে থাকবেন সাধারণ মানুষেও। হনুমানটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর, সুস্থ হলেই গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে ।” তুম্বাঝালদা গ্রামের বাসিন্দা বংশী মাহাত, অম্বরীশ মাহাত বলেন, “শেষ পর্যন্ত হনুমানটি ধরা পড়ায়, আমরা ভীষণ খুশি। এরপর থেকে গ্রামের মানুষ বাইরে বেরোতে ভয় পাবেন না।”
শেষ বাবা খবরে জানা যায় আরসা বনদপ্তরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হনুমানটিকে পুরুলিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে











Post Comment