নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:
জেলাশাসকের সরাসরি হস্তক্ষেপে অবশেষে মিলল সমাধান। সাঁওতালি মাধ্যম ছ’টি হাইস্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে এল জেলা প্রশাসন। গত সোমবার ওয়েস্ট বেঙ্গল সান্তাল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা একাধিক দাবিতে পুরুলিয়ার জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুরু করেছিলেন অনির্দিষ্টকালীন ধর্না। রাত ন’টা পর্যন্ত সেই অবস্থান চলে। টনক নড়ে প্রশাসনের।
শুক্রবার জেলা প্রশাসনিক ভবনে ওই সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেলাশাসক কোন্থাম সুধীর। সেখানে তিনি জানান, “ছ’টি সাঁওতালি মাধ্যম হাইস্কুলে শ্রেণিকক্ষ বৃদ্ধির দাবিতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জঙ্গলমহলের এই ছ’টি বিদ্যালয়ে ছ’টি করে নতুন রুমের দাবি উঠেছিল। তার প্রেক্ষিতে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর থেকে একাধিক স্কুলের জন্য আর্থিক অনুমোদনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
সাঁতুড়ির টাড়াবাড়ি কেএসপিকে হাইস্কুল, খারবাড় সাধুরামচাঁদ মুর্মু হাইস্কুল এবং কেশরপুর কেবিএ হাইস্কুলে ছ’টি রুমের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৮০ টাকা।সোনাইজুড়ি তিলকা মুর্মু হাইস্কুলে দু’টি রুম তৈরির জন্য ২০ লক্ষ ২ হাজার ৫০ টাকার অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।কাশিপুরের লোহাট হাইস্কুলে সাতটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য দুটি পৃথক প্রস্তাবে যথাক্রমে ৩৭ লক্ষ ১০ হাজার ২৭৫ টাকা এবং ১৯ লক্ষ ৯৬ হাজার ৮৯৩ টাকার আবেদন পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে বান্দোয়ানের শিরীষগোড়া এবং কাশিপুরের তিলকা মুর্মু হাইস্কুলে বাকি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের জন্য পরবর্তী ধাপে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
ওই শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্পাদক শত্রুঘ্ন মুর্মু বলেন, “শ্রেণিকক্ষ অনুমোদনের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের পার্শ্বশিক্ষকের মর্যাদা দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। জেলাশাসক যে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দাবি বিবেচনা করেছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি দ্রুত সব দাবি বাস্তবায়িত হবে।”










Post Comment