দেবীলাল মাহাত, আড়শা :
সকাল, দুপুর, কি বিকাল? কংসাবতী নদী তীরবর্তী এলাকায় এলেই শোনা যায় সুমধুর বাঁশির সুরের শব্দ। আপন মনেই বাঁশি বাজিয়ে যান আড়শা ব্লকের বামুনডিহা গ্রামের শংকর লায়া। সেই বাঁশির সুরের আওয়াজে মোহিত আট থেকে আশি সকলেই ।
কংসাবতী নদী ছুঁয়ে আড়শা ব্লকের বামুনডিহা। সেই গ্রামের বাসিন্দা শংকর লায়া।আদি বাড়ি জয়পু্র থানার ঝালমামড়া গ্রামে। বয়স ষাট পেরিয়েছে অনেক আগেই। পেটের দায়ে দিনমজুরের কাজ করলেও বাঁশি যেন অন্তরের আত্মা। সবসময়ের চলার পথের সঙ্গী। মনের ইচ্ছা হলেই বাজিয়ে যান বাঁশি। বাঁশির শব্দে ফুটে ওঠে ছৌ, ঝুমুর,ভাদু, টুসু সহ বিভিন্ন গানের সুর। শংকর লায়া জানান, “ছোট থেকেই তার বাঁশি বাজানো নেশা। একদিন শখের বসে নিজেই বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছেন বাঁশি। সেই শুরু। তারপর থেকেই বাঁশি দিয়ে আপন সুরে বাজিয়ে যান তিনি। একদিনের জন্য বন্ধ হয়নি বাঁশি বাজানো।” স্থানীয় তুম্বা- ঝালদা গ্রামের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন মাহাত জানান, “নদীর দিকে বেড়াতে গেলেই তার বাঁশি বাজানোর শব্দ শোনা যায়। খুব সুন্দর বাজায়।” একসময় বাঁশের বাঁশির বেশ চল ছিল। অতীতে রাখাল বালকেরা মাঠে প্রান্তরে বাঁশের বাঁশি বাজাতেন। তবে আধুনিকতার যুগে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বাঁশের তৈরি বাদ্যযন্ত্রটি। তবু আজও প্রাচীন বাদ্যযন্ত্রটিকে সঙ্গী করে বাঁশের বাঁশি বাজিয়ে যান শঙ্কর লায়া।
Post Comment