insta logo
Loading ...

বান্দোয়ানে বাঘের করিডোরে সেন্দ্রা

বান্দোয়ানে বাঘের করিডোরে সেন্দ্রা

বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, বান্দোয়ান:

বাঘের করিডোরে আয়োজিত হচ্ছে সেন্দ্রা। যৌথ ভাবে তৎপর পুরুলিয়া জেলা বনদপ্তর এবং পুলিশ।

বুদ্ধ পূর্ণিমার অযোধ্যা পাহাড়ের আগেই হয়ে থাকে পুরুলিয়া জেলার বন্দোয়ানের রাইকা জঙ্গলের সেন্দ্রা। ২০২৪ এর শেষে বাঘিনী জিনাত ওড়িশার সিমলিপল থেকে রাইকার জঙ্গলে প্রবেশের পর এবং ২০২৫ বছরের শুরুতেই জিনাত সঙ্গীর আনাগোনা বন্দোয়ানের যমুনা ১ বনাঞ্চলের রাইকার জঙ্গল বাঘের করিডোরের শিরোপা পেয়ে গিয়েছে। তাই এই বছর আদিবাসীদের এই সেন্দ্রা উৎসব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

আদিবাসী সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব হল সেন্দ্রা।
অতীতের দিনে এই উৎসবের দিনে জঙ্গলে শিকারীরা ঢুকে বন্যপ্রাণ শিকার করে থাকতেন।

বর্তমানে উৎসব এবং উৎস কে ঘিরে জাহের থানে ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র পূজো করা হয় । এদিন জঙ্গলে কিছু মানুষ অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করলেও রক্তপাত হয়নি। প্রাণহানি হয়নি কোনো বন্য প্রাণের। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর প্রশাসনের তরফ থেকে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। প্রশাসনের পাশে থেকেছেন আদিবাসীরাও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও।

সোমবার এই বাঘের করিডোর রাইকাতে সেন্দ্রাকে ঘিরে বনদপ্তরের বিশেষ তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। শুধু রাইকার জঙ্গলে নয়, বান্দোয়ানের বিভিন্ন পোস্টে ছিল বনদপ্তর এবং পুরুলিয়া জেলা পুলিশের যৌথ নাকা চেকিং। সোমবার এই সেন্দ্রা উপলক্ষে যাতে ভিন রাজ্য বা বাইরের থেকে কোন শিকারি সেন্দ্রা উৎসবকে কাজে লাগিয়ে বন্য প্রাণের ক্ষতি না করতে পারে সে জন্যই ছিল এই নজরদারি।

অন্যদিকে এদিন ফিল্ডে ছিলেন কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের এডিএফও কৌস্তব শাশারু, ওই বন বিভাগের ৬ রেঞ্জার সহ ৪৭ জন বনকর্মী এবং স্থানীয় প্রায় ১৫০ জন যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যদের রাইকা জঙ্গলে বিশেষ টহল দিতে লক্ষ্য করা যায়।

ধানপড়া গ্রামের বাসিন্দা চৌধুরী মুর্মু বলেন, “সেন্দ্রা উৎসবে আগে শিকার হতো। এখন বন দপ্তরের বারণ রয়েছে। “
কুসবনি গ্রামের বাসিন্দা সত্যজিৎ সরেন বলেন, ” স্নান করে বাড়িতে পুজো করে এখানে এসেছি। এখানে জাহের থানে পুজো দেবো।”

কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের ডি এফ ও পূরবী মাহাতো বলেন,” সেন্দ্রা উৎসবকে ঘিরে আমাদের ধারাবাহিক প্রচার ও নজরদারি চলেছে। এবারে জঙ্গলে কেউ অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেনি। কোনো রক্তপাতের খবর নেই। ” তাই এলাকার মানুষজনের পাশাপশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বন দফতর।

Post Comment