insta logo
Loading ...

রাইকাতে সেন্দ্রা, নজরদারিতে বন দফতর

রাইকাতে সেন্দ্রা, নজরদারিতে বন দফতর

নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দোয়ান :

সামনেই রাইকা পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী সেন্দ্রা উৎসব। এই উৎসব ঘিরে নিরাপত্তা বিষয়ে বৈঠক আয়োজিত হল বান্দোয়ান বন দফতরের অতিথি আবাসে। শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও পূরবী মাহাতো। ছিলেন এডিএফও কৌস্তব শাশারু সহ ওই বন বিভাগের ৬ রেঞ্জের ৪ রেঞ্জ আধিকারিক ও বিট অফিসারেরা।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে প্রতি বছর আদিবাসী মানুষজন ৭ ই বৈশাখ বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ে সেন্দ্রা উৎসবে যোগ দেন। ওই দিন তারা জঙ্গলে অনুসন্ধানের পাশাপশি পুজো অর্চনা করেন জঙ্গলে। প্রথাগত অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে মানুষজন অতীতে ওই জঙ্গলে প্রবেশ করত। ওইদিন একাধিক বন্যপ্রাণ শিকারও করা যেতো। অস্ত্র ছাড়াও থাকত ফাঁদ। মৃত্যু হতো বন্যপ্রাণের। প্রাণ যেত পাখিদের। তবে বছর কয়েক ধরে স্থানীয় যৌথ বন পরিচালক কমিটির সদস্যদের সহযোগিতায় বন দফতরের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় এখন আর বন্যপ্রাণ শিকার হয় না।

তবুও প্রচার চালাবে বন দফতর৷ রাইকা জঙ্গলে বিভিন্ন পাখি ছাড়াও সেখানে একাধিক প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী বসবাস করে। সম্প্রতি ওড়িশার সিমলিপাল থেকে পালিয়ে এসে এই রাইকা পাহাড়ে কয়েকদিন আশ্রয় নিয়েছিল বাঘিনী জিনাত। জিনাতের পরেও তার প্রেমিক এই জঙ্গলকে পছন্দ করে। এখনও রাইকাকে করিডর করেই দলমা থেকে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার জঙ্গলে যাতায়াতের করে। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর সেন্দ্রা উৎসবে নজরদারি অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এই বছর ওই উৎসব ২১ এপ্রিল। রাইকা পাহাড়কে ঘিরে থাকা ৯টি গ্রামের ৯ টি পয়েন্টে নাকা তল্লাশি চলবে। কংসাবতী বন বিভাগ ছাড়াও থাকবে পুরুলিয়া ও কংসাবতী উত্তর বন বিভাগের বহু অধিকারিক ও কর্মী। এছাড়া ৯ টি যৌথ বন পরিচালন কমিটির প্রায় ২৫০ জন সদস্য ২১ এপ্রিল সারাদিন নজরদারির কাজে বন দফতরের সঙ্গে থাকবে।

ডিএফও পূরবী মাহাতো বলেন,” সেন্দ্রা উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা,প্রচার, নজরদারিতে জোর দেওয়া হয়েছে।”

Post Comment