পুরুলিয়া মিরর ডিজিটাল ডেস্ক :
রামনবমীর পবিত্র লগ্নে জেলার বিভিন্ন স্থান হয়ে উঠল উৎসবে জমজমাট। রামনবমী উৎসবে পুরুলিয়া শহরে আয়োজিত হয় বিশেষ র্যালি। শহরের গোশালা হনুমান মন্দির এলাকা থেকে শুরু হয় র্যালিটি। চকবাজার হয়ে রেল স্টেশন দিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গা পরিক্রমা করে। ৮ থেকে ৮০ বয়স নির্বিশেষে নারী পুরুষ মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষজন অংশগ্রহণ করেন র্যালিতে। শহরের ঐতিহ্যবাহী রামনবমী শোভাযাত্রা দেখতে ভিড় জমান। কাতারে কাতারে মানুষ।

রবিবার মানবাজারের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমী উদযাপিত হয়। মানবাজার ইন্দকুড়ি হনুমান মন্দির প্রাঙ্গণে ঢল নেমেছিল অসংখ্য মানুষজনের। ভক্তদের পুজো অর্চনা,ভোগ নিবেদনের মাধ্যমে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ। মিলনমেলায় পরিণত হয় মন্দির প্রাঙ্গণ। মানবাজার মাইতি কলোনীর বাসিন্দা শুভ্রা দাস বলেন, “রামনবমী উপলক্ষে মন্দিরে পূজো দিতে এসেছি। সকালে ভিড় কম থাকে, তাই তাড়াতাড়ি এসেছি।” মানবাজার নামোপাড়ার বাসিন্দা পার্থসারথী সরকার বলেন, ” এলাকার একটাই তো মন্দির,তাই প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। রামনবমী উপলক্ষে বিকেলে একটি শোভাযাত্রা বের হয়, এই শোভাযাত্রায় সকলে অংশগ্রহণ করে।”

অন্যদিকে রামনবমী উপলক্ষে শ্রী রামচন্দ্রের পুজো আয়োজিত হলো মানবাজার ১নং ব্লকের কামতা জাঙ্গিদিরি অঞ্চলের কেশ্যা মোড় তৃণমূল কংগ্রেস অফিসে। উপস্থিত ছিলেন মানবাজার ১নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভক্ত রঞ্জন পান্ডে, কামতা জাঙ্গিদিরি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি অশ্বিনী মাহাতো, রঞ্জিত মাহাতো, চিত্তরঞ্জন মাহাত, জয়দেব মাহান্তি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতা কর্মীরা।

রামনবমী উপলক্ষে বিশাল শোভাযাত্রা আয়োজিত হয় বরাবাজারে। বরাবাজার বিবেকানন্দ বাইপাস মোড় থেকে বরাবাজার শহরের প্রত্যেকটি পাড়া পরিক্রমা করে রামের ভক্তরা। বরাবাজার শহর পরিক্রমার পর বরাবাজার বীণাপানি ইউনিটি ক্লাব থেকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিল বরাবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী । প্রশাসনের তরফ থেকে ড্রোন ক্যামেরা থেকে শুরু করে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা ছিলো। সন্ধ্যেবেলায় ভজন কীর্তন আয়োজন করা হয় নামোপাড়াতে।

তথ্য সহায়তা : বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, অমরেশ দত্ত, সম্রাট নাগ ও সঞ্জয় চৌধুরী।
Post Comment