insta logo
Loading ...
×

পিছিয়ে নেই পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামও, ছেলেমেয়েরা নানা গ্ল্যামারাস পেশায় সাফল্য ছড়াচ্ছে

পিছিয়ে নেই পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামও, ছেলেমেয়েরা নানা গ্ল্যামারাস পেশায় সাফল্য ছড়াচ্ছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া

পুরুলিয়ার ছেলে মেয়েরা যে এখন শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে তাই নয়, মডেলিং থেকে অভিনয়, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে বিমান চালনা, গ্ল্যামারাস নানা পেশায় চলে আসছে পুরুলিয়ার মতো প্রত্যন্ত জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরা। তাদের এই পরিবর্তিত পথচলা নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

তেমনই এক উজ্জ্বল উদাহরণ পুরুলিয়া মফস্বল থানার চকঝরিয়া গ্রামের ছেলে ভাস্কর দাস। পুরুলিয়া সৈনিক স্কুলের এই ছাত্র আজ আন্তর্জাতিক স্তরের ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সে কমার্শিয়াল পাইলট হিসেবে যোগ দিতে চলেছেন, অনেকেই বলছেন তিনিই জেলার প্রথম যুবক, যিনি প্লেন ওড়াবেন।

পুরুলিয়া শহরের অদূরে একটি ছোট গ্রাম থেকে উঠে আসা ভাস্করের এই অর্জন শুধুমাত্র তার পরিবার নয়, বরং পুরো জেলার জন্য গর্বের বিষয়। সোনালী স্বপ্নের পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের কষ্ট ও প্রচেষ্টা আজ সফলতার পথে পৌঁছেছে।

ছোট থেকেই মেধাবী ভাস্কর সৈনিক স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন, পরে দিল্লিতে গিয়ে কোচিং নেন এবং ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাইলট ট্রেনিং নিতে যান। আর এখন, আন্তর্জাতিক স্তরের বিমান সংস্থায় কমার্শিয়াল পাইলট হিসেবে তার যাত্রা শুরু হতে চলেছে।

এই সাফল্যের পেছনে শুধু ভাস্করের স্বপ্ন নয়, তাঁর পরিবারের অটুট সমর্থন ও কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। তার বাবা কৈলাস দাস, যিনি একা হাতে দুই ছেলের পড়াশোনার খরচ বহন করেছেন, আজ বুক ফুলিয়ে গর্বিত।

ভাস্করের বাবা কৈলাস দাস বলেন, “ছেলে ছোট থেকেই মেধাবী ছিল। আমার একক প্রচেষ্টায় দুই ছেলের পড়াশোনার খরচ বহন করেছি। আজ আমার বড় ছেলে, ভাস্কর, পুরুলিয়ার এই প্রান্তিক গ্রাম থেকে উঠে এসে আন্তর্জাতিক স্তরের পাইলট হয়েছে। এটি শুধু আমাদের পরিবারের নয়, পুরো পুরুলিয়ার জন্য গর্বের বিষয়।”

ভাস্করের মা পম্পা দাস বলেন, “আমি গ্রামীণ স্কুলে পড়াশোনা করেছিলাম, তবে ছেলেকে ভালো ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলাম। আজ সে যেখানটায় পৌঁছেছে, তাতে আমাদের আনন্দের সীমা নেই। ওর পছন্দের খাবার, সাউথ আফ্রিকা থেকে ফিরে আসার পর, আমি নিজ হাতে বানিয়ে দেবো।”

পুরুলিয়ার এই গ্রাম থেকে উঠে আসা এক মেধাবী ছেলের এভাবে আকাশে পাখির মতো উড়তে থাকা পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামগুলির জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Post Comment