হরিনারায়ণ সূত্রধর, ঝালদা :
কেটে গেল উনত্রিশ বছর। পুরুলিয়ার অস্ত্র বর্ষণ কাণ্ডের রহস্য সমাধান আজও হল না। ১৯৯৫ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে নামিয়ে দেওয়া হয় আগ্নেয়াস্ত্র ভর্তি বাক্সগুলি।
কাদের জন্য আসছিল অস্ত্র? উত্তর আজও অজানা।
কেন খটঙ্গা সংলগ্ন এলাকাতেই অস্ত্র বর্ষণ?
উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।
কী ভাবে সিবিআই, ‘র’, পুলিশের হাত থেকে পালালো এই কাণ্ডের মুখ্য অভিযুক্ত ডেনমার্কের বাসিন্দা কিম ডেভি, সে প্রশ্নের উত্তরও রহস্যাবৃত।
সম্পূর্ণ এয়ার ট্রাফিক নস্যাৎ করে পুরুলিয়ায় এত এত অস্ত্র ফেলে দেওয়া হলো, অথচ র্যাডারে তা ধরা পড়ল না, কেন? মেলেনি এ প্রশ্নেরও উত্তর।
ভারত সরকার তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আগাম এ ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিল। তবে তা পাঠানো হয়েছিল সাধারণ ডাকে। ঘটনার তিনদিন পর তা পৌঁছায় রাইটার্স বিল্ডিং। এত জরুরি বিষয়েও কেন এমন গয়ংগচ্ছ ভাব? উত্তর পাওয়া যায়নি।
দ্রুত সমাধান হোক স্বাধীন ভারতের গভীরতম রহস্যের, চাইছেন কোটশিলার খটঙ্গা এলাকার গ্রামবাসীরা।
১৯৯৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে এই এলাকাতেই বাক্স বাক্স অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র পড়েছিল। পরের দিন ১৭ই ডিসেম্বর সকালে অনেকে তা নিজেদের বাড়ি নিয়ে যান। সেই সব অস্ত্র উদ্ধার করতে কালঘাম ছুটে যায় পুলিশের। এখনও সব অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
এসেছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেতা অটলবিহারী বাজপেয়ী। প্রায় দুই তিন বছর ধরে চলে অস্ত্র উদ্ধার। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উঠে আসে পুরুলিয়ার নাম। খটঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা হিতলাল কুমার, কামদেব টুডুর দাবি, আমরা জানতে চাই এর পিছনে কী রহস্য।
ঝালদা ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপক সিংহ গ্রামবাসীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন এই বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।
Post Comment