নিজস্ব প্রতিনিধি , পুরুলিয়া: কোথাও বসেছে ছৌ নাচের আসর। কোথাও আবার ঝুমুরের আখড়া। কোথাও আবার নাটুয়া শিল্পীরা প্রদর্শন করছেন শিল্প। লোক আঙ্গিকেই শেষ নয়। হস্ত শিল্পেরও আসর বসেছিল জেলার বিভিন্ন স্থানে। বান্দোয়ানের মির্গীচামিতে সাবাই মেলাতে হস্ত শিল্পের প্রদর্শনীর সঙ্গে চলল বিকিকিনি। ঢাকিগ্রাম পাঁড়দ্দাতে শিল্পীরা শেখালেন কীভাবে তৈরি হয় বাদ্যযন্ত্র। লোকনৃত্য আর হস্তশিল্পের শিল্পকলায় পর্যটকরা শুধু বিনোদনই পেলেন না, তারা শিখলেন কেমন করে তৈরি হয় ছৌ মুখোশ, কেমন করে সাবাই ঘাস দিয়ে তৈরি হয় সামগ্রী। তত্ত্বাবধানে ছিল কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড। পুরুলিয়ায় লোকসংস্কৃতি মেলার আয়োজন করেছিল বাংলা নাটক ডট কম।
লক্ষ্য শিল্পীদের আয়ের পথ সুনিশ্চিত করা। আর সেই উদ্দেশ্যেই লোকসংস্কৃতি ও হস্তশিল্প মেলা আয়োজিত হলো পুরুলিয়ায়। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে এই অনুষ্ঠানগুলি। চলল তিনদিন। একদিকে জমজমাট লোকনৃত্যের আসর। অন্যদিকে হস্তশিল্পের প্রদর্শন। পর্যটকদের কাছে যেন পুরুলিয়া হয়ে উঠল একেবারে রঙিন।
আয়োজক বাংলা নাটক ডট কমের কো-অর্ডিনেটর উৎপল দাস বলেন, “এই ধরনের লোকসংস্কৃতি কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল লোকগ্রামগুলিকে সাধারণ মানুষজন তথা পর্যটকদের কাছে চিনিয়ে দেওয়া। লক্ষ্য শিল্পীদের আয়ের পথ সুনিশ্চিত করা। “
মুখোশ গ্রাম চড়িদাতে হয় ছৌ মুখোশ মেলা। বলরামপুরের তিনটি গ্রাম মালডি, বলরামপুর, পাঁড়দ্দাতে ঝুমুর ও নাটুয়ার কার্যক্রম হয়। পাঁড়দ্দাতে আবার দেখানো হয় বাদ্য যন্ত্র কীভাবে তৈরি হচ্ছে। সাবাই মেলায় হস্ত শিল্পের পরিদর্শনের পাশাপাশি চলে কেনাকাটাও। ছৌ শিল্পী মৌসুমি চৌধুরি বলেন, ” পুরুলিয়ার লোকসংস্কৃতির আরও বেশি প্রচার এবং প্রসার ঘটাতেই আমাদের এই উদ্যোগ। চলতি মাসের ২৫ থেকে ২৭ তারিখ কোটশিলার বামনিয়াতেও ছৌ মেলা হবে। সেই সঙ্গে কাশিপুরের মাজরামুড়াতেও হবে পটচিত্রীদের নিয়ে শিবির। সে সবের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে আয়োজক সংস্থা বাংলা নাটক ডট কম।
Post Comment