নিজস্ব প্রতিনিধি , ঝালদা:
অনাথ বিদ্যালয়। নেই নিজস্ব ভবন। চাঁদার জুলুম সহ্য করতে হচ্ছে কমিউনিটি হলে চলা বিদ্যালয়কে। অগত্যা শিশুদের জন্য নিজের দফতরই ছেড়ে দিলেন বিদ্যালয় পরিদর্শক। আশ্চর্যজনক ঘটনা পুরুলিয়ার ঝালদা পুর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডে। নিজস্ব ভবন না থাকায় গড়কুলি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি কমিউনিটি হলে চলতো। অভিযোগ, যে কমিউনিটি হলে বিদ্যালয়টি চলতো সেখানে রয়েছে একটি ক্লাব। সম্প্রতি ক্লাব থেকে আবার চাঁদার জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। ফলে ঠিকানা বদল করে শুক্রবার থেকে স্কুল চলে গেল ঝালদা ৩ নং চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে। সেখানেই শিশুদের জন্য রান্না হচ্ছে মিডডে মিল। ওই বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ৪১। রয়েছেন প্রধান শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা। পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। অভিভাবক শীলা রাজোয়াড় বলেন, “স্কুল ভবন না থাকার কারণে পঠন পাঠনের সমস্যা ছিলোই। এখন ব্যস্ত রাস্তার ধারে থাকা একটি অফিসে চলে গেল স্কুল। এতে বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে।”
অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সিদ্ধার্থ মাহাতো জানিয়েছেন আপাতত তাঁর দপ্তরেই স্কুল চলবে। ” প্রধান শিক্ষক ফুলচাঁদ মাহাতো বলেন, “চাপের মুখে স্কুল চালানো সম্ভব নয় বলে স্কুল সরিয়ে দিতে হলো।” অন্যদিকে চাঁদা নিয়ে কোন চাপ দেওয়া হয়নি বলে জানাচ্ছে ক্লাবটি। সদস্য উত্তম কয়াল বলেন, “প্রধান শিক্ষক নিজেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি স্কুলের নিজস্ব ব্যাপার।” এলাকাবাসীদের দাবি, ক্লাব ক্লাবের জায়গায় থাকুক, স্কুল ভবন এলকাতেই তৈরী হোক। সমস্যার সমাধান হবে আশ্বাস দিয়েছেন ঝালদার উপ পুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার।
Post Comment