insta logo
Loading ...
×

বালি তোলা নিয়ে ধুন্ধুমার

বালি তোলা নিয়ে ধুন্ধুমার

দেবীলাল মাহাতো, পুরুলিয়া:

অবৈধ ভাবে যন্ত্র নিয়ে পানীয় জল প্রকল্পের কাছ থেকেই তোলা হচ্ছে বালি। সেই বালি নিয়ে গ্রামের ভিতর দিয়ে বেপরোয়া ভাবে ছুটছে ট্রাক্টর। অবাধে বালি তুললে যেমন ক্ষতি হবে জল প্রকল্পের , তেমনই দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে গ্রামের একমাত্র রাস্তা। তাই পুরুলিয়া ১নং ব্লকের গাড়াফুসড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবেড়া কংসাবতী নদী ঘাটে অবৈধ ভাবে বালি তোলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন গাড়াফুসড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কংসাবতী নদীতে কাঁটাবেড়া নদী ঘাটের উপরে ও নিচে রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর পরিচালিত পানীয় জলের তিনটি প্রকল্প। একটি পুরুলিয়া ১নং ব্লকের সিন্দরি চাষ মোড় জল প্রকল্প, আড়শা ব্লকের কুদাগাড়া জল প্রকল্প ও বেলডি জল প্রকল্প। এই তিনটি প্রকল্প থেকে ২০-২৫টি গ্রামের মানুষ জল পান। কংসাবতী নদীই তিনটি জল প্রকল্পের একমাত্র জলের উৎস । জলের উৎস থাকায় এই ঘাটে বালি তোলা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে ‌। গ্রামবাসীরাদের অভিযোগ সেই সব নিয়মের তোয়াক্কা না করে গত শুক্রবার থেকে এই ঘাটে হুগলির এক সংস্থা তাদের লোকজন দিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে অবাধে তোলাচ্ছে বালি। এই ভাবে বালি তোলার ফলে নদীর জলস্তর কমে যাবে। এলাকার মানুষ পানীয় জল পাবেন না। এমনিতেই ফি বছর গ্রীষ্মকালে জলস্তর নিচে নেমে গিয়ে জলসংকট দেখা দেয় পানীয় জল প্রকল্পের পাম্প গুলোতে। বেআইনি বালি উত্তোলনের প্রতিবাদে এদিন ঘাটে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় এক ক্লাবের সদস্যরা । বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় বালি উত্তোলন।

স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় মাহাত, ইন্দ্রজিৎ মাহাত জানান, “এই রাস্তার উপরে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। রয়েছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র।বালি বোঝাই করে বেপরোয়া ভাবে রাস্তার মধ্যে ট্রাক্টরগুলো চলার ফলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।’ অভিযোগ, সংস্থার লোকেরা যে চালান দিচ্ছেন, সেই চালানে কোন ঘাট থেকে বালি তোলা হচ্ছে,তার কোনো উল্লেখ নেই। বেআইনি ভাবে ট্রাক্টর পিছু ৩০০০টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এলাকার মানুষকে সেই বালি ৫০০০-৬০০০ টাকা চড়া দরে কিনতে হচ্ছে। গাড়াফুসড়ো গ্রামের বাসিন্দা বাদল মাহাত, রাজীব মাহাত জানান, “সমস্ত বিষয়টি আমরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। এই ঘাট থেকে বালি তোলা বন্ধ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। “

এদিন বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি। সমিতির জেলা সম্পাদক মধুসূদন মাহাত জানান, “বেআইনি বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের পাশে আমরা আছি।”

Post Comment