জয়ন্ত মন্ডল, মানবাজার
একদিকে পুষ্টি প্রকল্প। সেই সঙ্গে আয়ের পথ। এই দুই লক্ষ্যে আদিবাসী মহিলাদের স্বনির্ভরতায় বছরভর মাছ চাষের প্রকল্প হাতে নিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই কাজের মধ্য দিয়েই রঙিন মাছ চাষ যাতে করা যায় সেই কথা বলেন মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবাশীষ ধর।
ভারত সরকারের আইসিএআর- সিআইএফআরআই, ব্যারাকপুরের উদ্যোগে ময়নাডাঙা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এবং গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় মানবাজার ১ নং ব্লকের ৩০২ বিঘা আয়তনের ৮ টি পুকুরে ৩৫ টি আদিবাসী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ৩৫০ জন আদিবাসী মহিলা পুষ্টি প্রকল্প ও নিজেদের আয় বাড়াতে সারা বছর ধরে মাছ চাষ করবেন। এই মাছ চাষের জন্য তাদেরকে মাছের চারাপোনা ও সারা বছরের জন্য প্রয়োজনীয় মাছের খাবার বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট পুকুরগুলির জল পরীক্ষা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ২০ জন মহিলাকে ব্যারাকপুরে নিয়ে গিয়ে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মৎস্য চাষীদের নৌকা সহ পর্যাপ্ত ফিশিং নেটও প্রদান করা হয়েছে। মৎস্য বিজ্ঞানীরা প্রতি মাসে পরামর্শ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট পুকুরগুলিতে আসবেন।
এ দিন গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ছিলেন আইসিএআর- সিআইএফআরআই ব্যারাকপুরের ডিরেক্টর ড. বসন্তকুমার দাস, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. অপর্ণা রায়, মানবাজার ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সবিতা মুদি, বিডিও দেবাশীষ ধর, মানবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিবানী বাউরি, সুজিত চৌধুরি, সোমা চক্রবর্তী। ডিরেক্টর বসন্তকুমার দাস জানান, এই প্রকল্পে মহিলারা আগামী দিনে স্বনির্ভর হবেন। তাদের সকলের জন্য বিকল্প আয়ের পথ প্রশস্ত হবে। মৎস্য চাষী মহিলাদের হাতে ওই দিন ৪০০ প্যাকেট খাবারও তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রায় ১৪৪০ কেজি চারা পোনাও ছাড়া হয়।











Post Comment