দেবীলাল মাহাত, আড়শা:
সরকারি রাস্তার প্রকল্পে ঢুকে যাচ্ছে বনদপ্তরের জমি। এমন দাবি করে নাকি রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন আড়শা বনদপ্তরের আধিকারিকেরা৷ অভিযোগ গ্রামবাসীদের। সোমবার এই ঘটনায় আড়শা থানার বামনি মোড়ে বনদপ্তরের গাড়ি সহ কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন আড়শা ব্লকের বামনি, ঘাটিয়ালি, চুনকুড়ি , সীতারামপুর, কাডিয়ারডি প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা। পরে আড়শা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে অযোধ্যা পাহাড় থেকে বামনি মোড় পর্যন্ত ১১কিমি রাস্তা পাকা করা হয়। তারপর এক দশক পেরিয়ে গেলেও রাস্তার আর সংস্কার করা হয়নি। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল । পাশাপাশি রাস্তার দুপাশ ভরে গেছে আগাছা, ঝোপঝাড়ে ।বর্তমানে রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার কাজ চলা কালীন শনিবার আড়শা বনদপ্তরের আধিকারিকেরা এসে বনদপ্তরের জমি রাস্তায় চলে যাচ্ছে বলে কাজ বন্ধ করে দেয়। এই খবর জানার পর গ্রামবাসীরা আজ সোমবার বামনি মোড়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ চালু করার দাবিতে বনদপ্তরের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। যদিও রাস্তার কাজ বন্ধ করার অভিযোগ মানেননি বনদপ্তরের আধিকারিকেরা।

ঘাটিয়ালি গ্রামের জগজীবন সিং মুড়া, জগন্নাথ সিং মুড়া বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বেহাল থাকার পর রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের সাথে কোন রকম আলোচনা না করেই বনদপ্তরের আধিকারিকেরা রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। তাই আজ বনদপ্তরের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। “
এদিকে আড়শা রেঞ্জের বিট অফিসার বিশ্বনাথ মাহাত জানান, “রাস্তার কাজ বন্ধ করার অভিযোগ ঠিক নয়। গ্রামবাসীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।আজকে আলোচনার মাধ্যমে সব ঠিক হয়ে গেছে।”
এদিন বিক্ষোভের পর আলোচনায় ঠিক হয় পুনরায় রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে। গ্রামবাসীরাদের দাবি মতো পিচ রাস্তার দুপাশে গাছ ক্ষতি না করে নিয়ম মেনে রাস্তা চওড়া করা হবে। এদিন একই সাথে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে রাস্তার দুপাশে ছ’য় ফুট ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে রাস্তা চওড়া করা ,গাছ লাগানো সহ বন সংরক্ষণ, পাহাড়ে আগুন ধরে গেলে বনকর্মীদের দ্রুত এসে পৌঁছানো, হাতির তান্ডবে ক্ষয়ক্ষতি দেওয়া, রাস্তার দুপাশে ও গ্রামে গ্রামে সোলার লাইট লাগানো, বনসহায়ক পদে পাহাড়ের লোককে নিয়োগ করা, জমির পাট্টা বিতরণ, বিশ্রামাগার ও কমিউনিটি হল বানানো সহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত পত্র তুলে দেওয়া হয় বনদপ্তরের আধিকারিকের কাছে।
Post Comment