নিজস্ব প্রতিনিধি , বাঘমুণ্ডি :
ফেসবুকের সৌজন্যে ১৪ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে ফিরে পেয়ে চোখের জলে ভাসলেন স্ত্রী। এ কান্না আনন্দের।
পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি থানা এলাকার লহরিয়া শিব মন্দিরের কাছেই বাস করতেন কৃষ্ণকান্ত মাহাতো। ১৫ বছর আগে রমলা মাহাতোকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের এক বছর পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান কৃষ্ণকান্ত।সাধ্য মতো খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকজন। হদিশ না পেয়ে কৃষ্ণকান্তের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু আশা ছাড়েননি একজন। নিখোঁজ স্বামী ফিরে আসবেই। এই দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে দীর্ঘ ১৪বছর অপেক্ষা করে বসেছিলেন তার স্ত্রী। স্বামী বাড়ি ফিরলে সোমবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আনন্দের অশ্রুতে ভাসলেন গৃহবধূ রমলা। কীভাবে বাড়ি ফিরলেন কৃষ্ণকান্ত?এলাকাবাসী জয়ন্ত মাহাতো বলেন, বাঘমুন্ডি থানা এলাকার বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক জনার্দন মাহাতো তাঁর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লহরিয়া মন্দির, অযোধ্যা পাহাড় সহ বিভিন্ন ছবি পোস্ট করেন।শিক্ষক মশাইয়ের সেই ফেসবুক পোস্টের ছবি রাজস্থানের এক হোটেল মালিকের মোবাইলে দেখে নিজের এলাকা চিনতে পারেন কৃষ্ণকান্ত। হোটেল মালিককে বিষয়টি জানান তিনি। হোটেল কর্তৃপক্ষ ফেসবুক মারফত যোগাযোগ করেন জনার্দন বাবুর সঙ্গে। ক্রমে যোগাযোগ হয় পরিবার এবং গ্রামবাসীদের সঙ্গেও। মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় নিখোঁজ হওয়ার পরে সুস্থ হয়ে রাজস্থানের জয়সলমীর এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করতেন বলে বাড়িতে বসে হিন্দি ভাষায় জানালেন কৃষ্ণকান্ত। স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত মাহাতো জানান, কৃষ্ণকান্তের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার পর তারা রাজস্থানের ওই এলাকার এক প্রাক্তন সেনা আধিকারিক নিশীথ কুমার মুখার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করেন কৃষ্ণকান্তকে উদ্ধারে। রাজস্থানের জয়সলমীরের সেম থানা এলাকা থেকে কৃষ্ণকান্তকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। ১৪ বছর ধরে নিখোঁজ ছেলে বাড়ি ফিরে আসায় আনন্দে চোখের জলে ভাসলেন কৃষ্ণকান্তের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী,সহ পরিবার।









Post Comment