সুইটি চন্দ্র, পুরুলিয়া :

জঙ্গলমহল সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধনে জমজমাট পুরুলিয়া। নিস্তারিণী কলেজ হয়ে উঠল চাঁদের হাট। তিন দিন ধরে কবিতার পলাশ আর গদ্যের শিমুল ফুটবে কলেজ চত্বরে। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি ও পুরুলিয়া তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় এবং নিস্তারিণী কলেজের সহায়তায় শুরু হয়ে গেল জঙ্গলমহল সাহিত্য উৎসব। শুক্র, শনি ও রবিবার তিনদিনে অংশ নিচ্ছেন জঙ্গলমহলের চারশতাধিক কবি সাহিত্যিক।
শুক্রবার উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি ব্রাত্য বসু। উপস্থিত ছিলেন বাংলা কবিতা অ্যাকাডেমির সভাপতি, কবি সুবোধ সরকার, কবি শ্রীজাত, সাহিত্যিক আবুল বাশার, নলিনী বেরা, প্রচেত গুপ্ত, বিমল লামা প্রমুখ। ছিলেন সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো, পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর রাষ্ট্র দর্শনে পুরুলিয়ায় এত বড়ো সাহিত্য উৎসব আয়োজিত হচ্ছে। তিনি যেমন নবান্ন নিয়ে ছুটে যান জেলায় জেলায়, তেমন কলকাতা কেন্দ্রীকতা ছেড়ে সাহিত্য উৎসব প্রত্যন্ত জেলায়। ” পুরুলিয়ার সাহিত্য সমৃদ্ধি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্তর পুরুলিয়া আসার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী। বলেন, ” কবি এই ভূ খণ্ডকে নিয়ে সনেট রচনা করেছেন।” বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী দেখেন নিচে বসে রয়েছেন সাহিত্যিক বিমল লামা। তিনি তাঁকে মঞ্চে ডেকে নেন। বলেন, ” বিমল লামা সারা জীবন ধরে বাংলা সাহিত্য চর্চা করেছেন। তাঁর জন্ম উত্তরবঙ্গে হলেও চাকুরি সূত্রে পুরুলিয়া এসে আজ তিনি জঙ্গলমহলের মানুষ। এর থেকে বড়ো মেলবন্ধন আর কী হতে পারে?”
পুরুলিয়াতেও যে এতবড়ো সাহিত্য উৎসব করা যায়, তার প্রমাণ এই আয়োজন, বললেন কবি সুবোধ সরকার। কলকাতা নির্ভরতা ছেড়ে বাংলা সাহিত্য আশ্রয় নিচ্ছে পুরুলিয়ার রুখা মাটিতে, এতে বাংলা ভাষারই লাভ, মন্তব্য প্রচেত গুপ্তর।
এদিন ‘সাহিত্যে আড্ডার গুরুত্ব’ বিষয়ে মনোজ্ঞ আলোচনায় অংশ নেন কবি সাহিত্যিকেরা। আয়োজিত হয় জমাটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।











Post Comment