insta logo
Loading ...
×

মহানবমীর বিকালে নক্ষত্র পতন, চলে গেলেন ‘মাস্টারমশাই’

মহানবমীর বিকালে নক্ষত্র পতন, চলে গেলেন ‘মাস্টারমশাই’

সঞ্জয় চৌধুরি, বরাবাজার : প্রয়াত হলেন বরাহভূম রাজ পরিবারের সদস্য তথা বরাবাজারের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, সমাজসেবী কল্যাণীপ্রসাদ সিংহ দেব। তাঁর মৃত্যু জঙ্গলমহল বরাবাজারে নক্ষত্রপতন! মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। মৃত্যুকালীন সময়ে তিনি দুই পুত্র, চার কন্যা, জামাতা, দুই পুত্রবধূ, নাতি-নাতনিদের রেখে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
শুক্রবার সাধারণভাবে অষ্টমী হলেও তিথিতে শারদীয়ার মহানবমী। এদিন বিকাল ৪ টা ৫ মিনিটে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বরাবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন সমবেত হচ্ছেন বরাবাজার ব্লক সদরের রাজাপাড়ায় তাঁর বাসভবনে। তিনি ছিলেন বরাবাজার উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। পরবর্তীকালে রাঁচি সেন্টজেভিয়ার্স থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করে মানবাজার রাধা মাধব ইনস্টিটিউশনে শিক্ষকতার পেশায় নিজেকে ডুবিয়ে দেন। তারপর বিধানচন্দ্র রায়ের সময়ে বোর্ড অফ রেভিনিউ-এ কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে বরাবাজার উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষকতায় যুক্ত হন। সেখান থেকেই অবসর নেন। বরাবাজারে তিনি সকলের কাছে ‘মাস্টারমশাই’ নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর শিক্ষকতা সময়ে তিনি বহু ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান করেন। যারা আজ দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও নানা জায়গাতে উচ্চপদে কর্মরত। শুধু তাই নয় তিনি ত্রি-স্তর গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থাপনাতেও যুক্ত ছিলেন। বরাবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যও ছিলেন কিশোরীমোহন সিংহ দেবের প্রধান থাকাকালীন। তাছাড়া এলাকায় বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। এলাকার মানুষ যে কোন বিষয়ে পরামর্শ নিতেন তাঁর কাছে। এক কথায় তিনি ছিলেন মুশকিল আসান। তাঁর লেখনীতে একটা আলাদা প্রতিবাদের ভাষা ছিল। নিজেও ছিলেন এক প্রতিবাদী চরিত্র। বরাবাজারের মানুষজন তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে মর্মাহত। বলা যায় তাঁর মৃত্যুতে বরাহভূমের বিস্তীর্ণ অংশে
অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

Post Comment