বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, বান্দোয়ান:
সামনে মকর। পরবের মুখে এবার টুসু গানে উঠে এলো বান্দোয়ানের বাঘিনী। টুসু গানকেই এবার হাতিয়ার করা হলো ওড়িশার বাঘিনী জিনাত থেকে গ্রামবাসীদের সতর্ক করতে। গাইলেন তিলক তন্তুবায়। তিনি কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের যৌথ বন পরিচালন কমিটির বিশেষভাবে সক্ষম সদস্য। তাঁর গলায় ওই গাওয়া সেই গান এখন ভাইরাল।
“বাঘ ঢুকেছে রাইকা পাহাড়ে,
তোরা যাস নারে ভাই বন ধারে।”
কী রয়েছে সেই ভাইরাল গানে?
রয়েছে বাঘের নজরদারিতে বন কর্মীদের দিন-রাত এক করা অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা। কীভাবে বাঘিনী বেলপাহাড়ির কাঁকড়াঝোর হয়ে বান্দোয়ানের জঙ্গলে ঢুকেছে
সেকথা। রয়েছে সেই সিমলিপাল
ব্যাঘ্র প্রকল্পের কথা, যেখানে ছিল জিনাতের ঘর। মহিষ, ছাগল, শূকর টোপ দিয়েও যে বাঘিনী জিনাতকে বাগে আনা যায়নি এই বিষয়টিও রয়েছে গানের কথায়। গানে ফুটে উঠেছে এই বাঘকে নিয়ে আতঙ্কের ছবি। সঙ্গে বান্দোয়ানের শাল- মহুল সবুজ পাহাড়ে ঘেরা অনিন্দ্যসুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ওই গানে।
টুসু গানের সুরে সতর্কতার বার্তা। তিলক বলছেন তিনি যৌথ বন পরিচালন সমিতির সদস্য। বন্যপ্রাণ থেকে মানুষ জনকে সচেতন করা তাঁর দায়িত্ব। আর সেই সেই দায়িত্বর কথা মাথায় রেখে সচেতনতার মাধ্যম করেছেন জনপ্রিয় টুসু গানকে।
জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল বাঘিনী। গবাদি পশুদের রক্ষা করতে হলে বনে যেতে দেওয়া চলবে না। টুসু গানের লাইনে-লাইনে জিনাত থেকে সতর্ক ও সচেতনতার এই বার্তা। তাঁর গানকে সাধুবাদ জানিয়ে কংসাবতী দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও পূরবী মাহাতো বলেন, ” যৌথ বন পরিচালন সমিতির সদস্যকে কুর্নিশ জানাই। যে কাজ আমাদের করা দরকার সেই কাজ দায়িত্ব নিয়ে ওই পরিচালন সমিতির সদস্য করেছেন।”
Post Comment