বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, পুরুলিয়া :
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন,“ অন্ন চাই,প্রাণ চাই, আলো চাই,চাই মুক্ত বায়ু,/চাই বল,চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ-উজ্জ্বল পরমায়ু।”
এমনই এক ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ও জনসচেতনতার কথা মাথায় রেখে সোমবার
২৪ শে ফেব্রুয়ারি ফাইলেরিয়া দূরীকরণ কর্মসূচির সূচনা হল জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার জেলা জুড়ে।
জেলার কর্মসূচির মুখ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় পুরুলিয়া ২ নং ব্লকের দুমদুমি গ্রামে। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অশোক বিশ্বাস, ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার দেবাশীষ গাঙ্গুলী সহ অন্যান্যরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্কুল থেকে আগত শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী সহ শতাধিক মানুষজন।
স্বাস্থ্যকর্মীরা অতিথিদের এবং অনুষ্ঠানে আগত সকলকে ফাইলেরিয়া ওষুধ খাইয়ে দেন। প্রকাশ্য মঞ্চে ওষুধ খেলেন খোদ সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতোও।
মুখ্য অধিকারী ড: অশোক বিশ্বাস বলেন “ফাইলেরিয়া নির্মূলিকরণের এটি একটি প্রয়াস মাত্র। সোমবার থেকে ফাইলেরিয়া ওষুধ খাওয়ানো শুরু হল। বিভিন্ন ব্লক স্তরেও এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী দিনগুলিতে শহর এবং পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ফাইলেরিয়ার ওষুধ খাওয়ানো প্রক্রিয়া চলবে।”

ঠিক একই কর্মসূচি লক্ষ্য করা গেল বলরামপুর ব্লকের মালতী শ্যামনগর জিলপা লায়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। পশ্চিমবঙ্গ ব্লক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর ও বলরামপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্যোগে এদিন বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চে এই কর্মসূচি পালিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বলরামপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌগত চৌধুরী, বলরামপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক ( বি.এম.ও. এইচ) ডা: সৌমেন মন্ডল , চিকিৎসক ডা: শুভম পাল, বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাল্লাবতী কুমার ও ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্যান্য কর্মচারীরা। এইদিন প্রায় ৭০০ ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে ফাইলেরিয়ার ওষুধ সেবনের উপকারিতা বিষয়ে পরামর্শ দেন ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও অন্যান্যরা এবং সকলের সামনে ফাইলেরিয়ার ওষুধ সেবন করেন বিদ্যালয়ের উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষিকা ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তীর্থঙ্কর ব্যানার্জী। বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা প্রথমেই আগত অতিথিদের বরণ করে নেয়। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক সৌগত চৌধুরী ও অন্যান্য অতিথিরা বিদ্যালয় চত্বরে মনীষীদের আবক্ষ মূর্তিতে মালা দেন এবং এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্রী কৃষ্ণা দাস, স্বাতী গোপ এদিন নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূল সুরকে বেঁধে দেয়। অনুষ্ঠানের শেষে ছিল বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি। বিদ্যালয় চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন উপস্থিত অতিথি ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।










Post Comment