insta logo
Loading ...

কেঁদে মন মজেছে পুরুলিয়ার

কেঁদে মন মজেছে পুরুলিয়ার

বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, পুরুলিয়া:

কেঁদ। কাঁচা হলে কষা। আর পাকা হলে? অমৃত তুল্য। জঙ্গলমহলের অন্যতম আকর্ষণীয় ফল কেঁদ পাকা। গ্রীষ্মের শুরুতেই চৈত্র-বৈশাখ মাসে জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায় এই গাছে গেছে পেকেছে কেঁদ ফল। পুরুলিয়ার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় আদিবাসীদের কাছে অর্থ উপার্জনকারী। তাঁরা অনেকেই জঙ্গল থেকে এই ফল কুড়িয়ে এনে শহরাঞ্চলের বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেন।

অতীতের তুলনায় বাজারে কেঁদ পাকার বিক্রি অনেকটাই কমে গিয়েছে। অতীতে গ্রীষ্মকালে পুরুলিয়া শহরের বাজারের রাস্তার ধারে কেঁদ ফল বিক্রির দোকানের লাইন লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু এখন তা কমে ২-৩ টি দোকানে নেমে গিয়েছে। বাজারে এক দুটো দোকান থাকলেও অনেকেই সেই দোকানগুলিতে কেঁদ পাকা কিনতে আসছেন। কেঁদ ফলের সাথে পরিচিত-অপরিচিত সকল রকমের খদ্দের লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেখানে অধিকাংশ ফলের মূল্য কেজি প্রতি একশো টাকা পার, সেখানে মাত্র ৩০-৪০ টাকা কেজি প্রতি দাম দিয়ে কেঁদ পাকা কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন তারা।

সুদূর বান্দোয়ান থেকে কেঁদ পাকা নিয়ে পুরুলিয়া শহরে এসেছেন বিক্রেতা ভারতী কৈবর্ত। মাথায় ছাতার আড়ালটুকু রেখে এই অফবিট ফল বেচে চলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ” আমের মরশুমে আম, জামের মরশুমে জাম, ভুট্টার মরশুমে ভুট্টা বিক্রি করি। গরিব মানুষ। বসে থাকলে চলে?”

কেঁদ ফল ক্রেতা দীপক দাস বয়স্ক মানুষ। বললেন, ” ছোটবেলা থেকে এই সময় কেঁদ পাকা খাই। আগে অনেকে এই ফল নিয়ে এসে বসতেন বাজারে। এখন বিক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গেছে।”

Post Comment