insta logo
Loading ...
×

এক উনুনে ২২ হাঁড়িতে রান্না, জগদ্ধাত্রীর ভোগেই মাহাত্ম্য পুরুলিয়ায়

এক উনুনে ২২ হাঁড়িতে রান্না, জগদ্ধাত্রীর ভোগেই মাহাত্ম্য পুরুলিয়ায়

পুরুলিয়া মিরর ব্যুরো: রুপোর থালায় সাজিয়ে নবমী পুজোয় ১০৮ কেজির গোবিন্দ ভোগ চালের বাসন্তী পোলাও। পাঁচ কুইন্টাল চাল-ডালের খিঁচুড়ি। এক কুইন্টাল পায়েস। অষ্টমীর পুজোয় ১০৮টা লুচি ও বোঁদে। সপ্তমীর পুজোয় রাজভোগ, খাজা, গজা, নিখুঁতি সহ নানান মিষ্টান্ন। শহর পুরুলিয়ার সরকারপাড়ায় সোনায় মোড়া রাজরাজেশ্বরী রূপে পু্জিতা মা জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় ভোগ ছিলো এমনই। একইভাবে এই শহরের নন্দী পরিবারেও নবমীর অন্ন ভোগে ছিলো ন’রকম ভাজা। আবার কাশীপুরে শিয়ালডাঙ্গায় আচার্য পরিবারে একই উনুনে ২২ মাটির হাঁড়িতে হয় ভোগ রান্না। পুরুলিয়া জুড়ে জগৎজননীর আরাধনায় মাহাত্ম্য যেন লুকিয়ে রয়েছে ভোগেই।

সরকার পাড়ার পুজোর আয়োজক গৌতম রায় বলেন, ” আমাদের পুজোয় ভোগ একটা বিশেষত্ব। পোলাও, পায়েস, খিঁচুড়ি, রাজভোগ সহ নানান মিষ্টি। কিছু বাদ থাকে না। এমনকি দশমীতেও মাকে আমরা পোলাও, চিড়ে, দই, মিষ্টান্ন, ফল এবং চ্যাং মাছ দিয়ে পুজো করি। ” নন্দী পরিবারের মেয়ে স্বাতী দত্ত বলেন, ” মায়ের নবমী পুজোয়
ন’রকম সবজির ভাজা ছিলো। অন্ন ভোগে এই ভাজা দেওয়া হয়েছিল। “

কাশিপুরের শিয়ালডাঙার পুজোয় গোলাকার একটি উনুনে ২২ টি হাঁড়িতে ভোগ রান্না হয়। সাদা ভাত, ডাল, কুমড়োর তরকারি আর মাছের ঝোল। ১৫৪ বছরের এই পুজোয় ভোগ খেতে রীতিমতো পংক্তি ভোজন হয়। আড়াই হাজার মানুষের পাত পড়ে। ওই পরিবারের সদস্য জগৎ আচার্য বলেন, ” ঐতিহ্য মেনে আমাদের এই পুজো হয়ে আসছে। মহানবমীতে এক উনুনে ২২ হাঁড়িতে ভোগ রান্না হলো।” আর তা দেখতে বরাবরের মতো এবারও মিলন মেলার রূপ নেয়।

Post Comment