বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, বলরামপুর : প্রিন্যাশনালে দুর্দান্ত লক্ষ্যভেদ। এবার ১০ মিটার রাইফেলে জাতীয় স্তরে খেলার সুযোগ খুলে গেল পুরুলিয়া জেলার রত্নকন্যা বৈষ্ণবী জয়সওয়ালের। বৈষ্ণবীর বাড়ি পুরুলিয়া জেলার বলরামপুরে।ন্যাশনাল শুটিং অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত দিল্লির তুঘলকাবাদ ডক্টর কার্নিশ সিং শ্যুটিং রেঞ্জে আয়োজিত ৪৩ তম সাব জুনিয়ার প্রি ন্যাশনাল শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার রাইফেল শ্যুটিংয়ে বিশেষ সাফল্য অর্জন করে জাতীয় স্তরের খেলার জন্য ছাড়পত্র অর্জন করল সে। খুশির লহর বলরামপুরে। দীপাবলির আলো যেন আরও ঝলমলে হয়ে উঠল এখানে। খুশিতে আত্মহারা মা বাবা সহ সমস্ত পরিবার। বৈষ্ণবীর পরবর্তী লক্ষ্য জাতীয় স্তরে সাফল্য অর্জন করে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা। বলছেন তাঁরা।
আরেক মনু ভাকর হওয়ার লক্ষ্য সঙ্গে নিয়ে গত এক বছর আগে প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়ার বলরামপুরের বাড়ি ছেড়ে ভিন রাজ্য উত্তরাখণ্ডে দেরাদুনে বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনা করতে যায় বৈষ্ণবী। সেখানেই পড়াশোনার সঙ্গে চালিয়ে যায় রাইফেল শ্যুটিং এর প্রশিক্ষণ।
পুরুলিয়ার গর্ব বৈষ্ণবী জয়সওয়াল জানিয়েছে শৈশবে তার পড়াশোনা বলরামপুর সেন্ট জেভিয়ার্সে। মূলত টিভি তে রাইফেল শ্যুটিং দেখে প্রভাবিত হয়ে পড়ি। দু বছর আগে দেরাদুনের বোর্ডিং স্কুলে পড়াশোনার জন্য যাই। সেখানে গত বছর থেকে শুরু হয় রাইফেল শ্যুটিংয়ের প্রশিক্ষণ। ১৯ তম ইন্টার স্কুল স্টেট শ্যুটিং গেমসে গোল্ড মেডেল, উত্তরাখণ্ড স্টেট শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ মেডেল অর্জন করার পর গত ২৬ অক্টোবর প্রি-ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য অর্জনের মধ্য দিয়ে জাতীয় স্তরে খেলার ছাড়পত্র অর্জন করলাম। এরপর আগামী ডিসেম্বরে রয়েছে জাতীয় স্তরে শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ, সেখানে একটাই লক্ষ্য। ভারতের হয়ে খেলার ছাড়পত্র অর্জন করে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা।
সে আরও বলে প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়ার বলরামপুর থেকে ভিন রাজ্যে গিয়ে সাফল্যে অর্জনের মূল চাবিকাঠি বা অনুপ্রেরণা হল তার মা-বাবা এবং ভারতীয় কিংবদন্তি শ্যুটার মনু ভাকর। তার সাফল্যে গর্বিত তার মা বাবা। খুশির ঢল নেমেছে তাদের সমস্ত পরিবার সহ বলরামপুরবাসীর মনে।
Post Comment