insta logo
Loading ...

ইতিহাস শূন্য নিলডি, দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে দম্পতির

ইতিহাস শূন্য নিলডি, দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে দম্পতির

নিজস্ব প্রতিনিধি, রঘুনাথপুর :

একমাত্র ইতিহাসের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারালেন রঘুনাথপুর ২ নং ব্লকের নিলডি হাইস্কুলের এসএসসির নবম-দশম বিভাগে উত্তীর্ণ ইতিহাসের শিক্ষিকা পদ্মাবতী মাহাতো। স্কুলে শুধু নবম দশম নয়, ইতিহাসের অন্য শিক্ষক না থাকায় একাদশ দ্বাদশেও এই বিষয়টি পড়াতেন তিনি। আর কেউ রইলেন না ইতিহাস পড়ানোর। কীভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দেবে ছেলে মেয়েরা? চিন্তায় অভিভাবকরাও।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রণবকুমার নিয়োগী বলেন, ” আমাদের স্কুলে ইতিহাস শূন্য শিক্ষক হয়ে গেল। জানি না ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিষয়ে কীভাবে পাঠ দেওয়া হবে!”

তবে শুধু যে পদ্মাবতী দেবীই চাকরি হারিয়েছেন তাই নয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে তাঁর স্বামী সুশান্ত মাহাতোরও। পুঞ্চা ব্লকের ন’পাড়ার কাছে ভূতাম স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন তিনি। ঋণের বোঝায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।

শিক্ষিকার মায়ের নামে ৩ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে। সেই টাকা ফি মাসে ১০ হাজার টাকা ইএমআই দিয়ে মেটাতে হয় পদ্মাবতী দেবীকে। সুশান্তবাবুও ৪ লাখ টাকার পার্সোনাল লোন নিয়েছেন। প্রতি মাসের ১৬ তারিখ ৬৬৬২ টাকা করে দিতে হয়। সেই সঙ্গে তার মার চিকিৎসার খরচ।
সুশান্ত বাবু বলেন, ” জানি না কী হবে? এভাবে যে চাকরিহারা হয়ে যাব কোনদিন ভাবিনি। “

দম্পতির চার বছরের মেয়ে ও এক বছরের ছেলে রয়েছে। চাকরিসূত্রে পদ্মাবতী দেবী বাপের বাড়ি পুরুলিয়া ২ নং ব্লকের কালাপাথর থেকে ডিউটি করতেন। ছুটি ছাটায় ছেলে- মেয়েকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি পুঞ্চার দেলাং গ্রামে যান। তিনি বলেন, “কর্মসূত্রে আমি ছেলে- মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকি। ওখানেও আমার একটা খরচ রয়েছে। এমন পরিণতি হবে ভাবতেই পারছি না।”

Post Comment