নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালদা :
একদিকে প্রতিশোধের আগুনে ফুটছে ঝালদা। অন্যদিকে কাশ্মিরে জঙ্গি হামলায় নিহত আইবি অফিসার মনীশ রঞ্জন মিশ্রর নাবালক দুই সন্তান ও স্ত্রী জয়ার ভবিষ্যত চিন্তা।
এই দুইয়ের মাঝে কেটে গেল আরও একটা দিন। শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ নিহত আইবি অফিসারের বাড়িতে আসেন। এদিনই আইবি অফিসারের বাড়িতে আসেন ঝাড়খণ্ডের কৃষি মন্ত্রী নেহা তির্কিও। এই দুই মন্ত্রী ওই পরিবারকে সমবেদনা জানান।
এদিন ওই বাড়িতে ছিলেন জয়া দেবীর বাবা জয়শংকর মিশ্র। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলেন, “দুই নাবালক ছেলে-মেয়েকে বড় করে তুলতে আর সংসারটার হাল ধরে রাখতে একটা চাকরি ভীষণ প্রয়োজন। আমার মেয়ে জয়া উচ্চ শিক্ষিতা। যদি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা কোন স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি হয় তবে ভীষণ ভালো হবে। এই বিষয়টা আপনাকে দেখতেই হবে।”

মন্ত্রী এ বিষয়ে কোন কথা প্রকাশ্যে বলতে না চাইলেও পরিবারের দাবি তিনি দাবিতে সহমত।
মনীশের ভাই ছত্তিসগড়ে কর্মরত ফুড ইন্সপেক্টর রাহুলরঞ্জন মিশ্র প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলেন, “আর অপেক্ষা নয়। জঙ্গি দমনের বিষয়টি এখন থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।” মন্ত্রী তাঁকে বলেন, এই ঘটনার পিছনে যারা জড়িত আছেন তারা কেউ ছাড় পাবেন না। ঝাড়খণ্ডের কৃষি মন্ত্রীর কাছেও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে তার পরিবার।
নারকীয় হত্যাকাণ্ডর ৪ দিন পার হয়ে গেলেও মনীশ বাবুর স্ত্রী জয়া দেবী স্বাভাবিক হননি। এখনও চেতনা হারাচ্ছেন মাঝেমধ্যেই। বলছেন অসংলগ্ন কথাবার্তা। মাঝেমধ্যেই কেঁদে উঠছেন তিনি। কখনও হাসছেন। কখনও আবার ছেলে-মেয়েদের বুকে জড়িয়ে দিচ্ছেন সান্ত্বনা। এদিকে পুলিশ দেখলেই আতঙ্কে আর্তনাদ করে উঠছে মনীশ বাবুর বছর বারোর পুত্র সমৃদ্ধ। একই অবস্থা তাঁর ৬ বছরের কন্যারও। পরিবার সূত্রে জানা গেছে জঙ্গিরা জলপাই রঙের পোশাক পরে হামলা চালিয়েছিল। সেই পোশাক দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে উঠছে নাবালক পুত্র কন্যারা।
Post Comment