insta logo
Loading ...
×

একদিনেই পুরুলিয়ায় কোটি টাকার মাছ

একদিনেই পুরুলিয়ায় কোটি টাকার মাছ

অমরেশ দত্ত ও বিশ্বজিৎ সিং সর্দার :

জেলা জুড়ে ওজন যদি করে দেওয়া যেত, ওজন হয়ে যেত ১০০ টনের বেশি! বাসি ভাতের আগের দিন রাঁধাবাড়ার বাজারে প্রায় কোটি টাকার মাছ বিক্রি পুরুলিয়া জেলা জুড়ে। শুধু যে স্থানীয় পুকুরগুলির মাছের এই চাহিদা, তা নয়। দামের আগুনে রূপ দেখে অন্ধ্র থেকে আমদানি করা মাছের বাজারও বরফ ঢাকা শরীরে ছড়িয়েছে উত্তাপ।

সোমবার বসন্ত পঞ্চমীর পর দিন মঙ্গলবার শীতলা ষষ্ঠীতে বাসিভাত উৎসব জেলার একটি বড়ো পার্বণ৷ সরস্বতী পূজার দিন মাছ, ভাত, গোটা সিদ্ধ রান্না করে পরের দিন বাসি খাওয়া। সেই পার্বণের হিরো বিষ্ণুর প্রথম অবতার।
জেলার মাছ মাজারগুলো ঘুরে দেখা গেল সাধারণত স্থানীয় মাছ ও অন্ধ্রের মাছের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। সামুদ্রিক মাছের সেরকম চাহিদা নেই এই পরবে। তবে নামেমাত্র সংখ্যায় বাগদা চিংড়ি , গলদা চিংড়ি, ভেটকি ও ইলিশ বিক্রি হতেও দেখা গেছে। পুরুলিয়া শহরের পাইকারি মাছ বিক্রেতা চন্দন ধীবর বলেন,” শুধুমাত্র পুরুলিয়া শহরেই সরস্বতী পুজোতে ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ বিক্রি হয়েছে। সমগ্র জেলার হিসাব করলে
তা কোথায় ঠেকবে জানি না। সারা জেলার হিসেব দেখা গেলে মাছের বাজারে কোটি টাকার বিক্রিবাটা হয়েছে। “

সরস্বতী পূজার সকাল থেকেই পুরুলিয়া শহর, মানবাজার, রঘুনাথপুর পুর শহর , রেল শহর আদ্রা, ঝালদা পুর শহর সহ ব্লক সদর গুলিতে মাছ কেনার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা দেখা যায়। যত চাহিদা ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছের দর।
এ বছর পুরুলিয়া শহরে স্থানীয় মাছের আমদানি হয়েছিল যথেষ্টই। কেজি প্রতি দাম উঠেছিল ৩৫০-৪০০ টাকা। তবু পুরুলিয়ার ঘরে ঘরে এই মাছ ঘরে তুলতে ছিল তুমুল তৎপরতা। অন্ধ্রের মাছও ১৫০-২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে বেশ । পুরুলিয়ার বড়হাটের খুচরো মাছ দোকানী লিল্টু ধীবর বলেন, ” আমার কাছে দেশি মাছ-ই বেশি থাকে। তবে এবার অন্ধ্রর আমদানি করা মাছও ভালো বিক্রি হয়েছে।” দেশি খেয়ে যাঁরা অভ্যস্ত, দাম বেশি হলেও ওই মাছই নিয়ে যান। পুরুলিয়া শহরের বড়হাটে মাছ কিনতে আসা অমর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজকের দিনে বাড়িতে দেশি মাছ ছাড়া অন্য কি মাছ নেব! তাই ৪০০ টাকা কেজি দরে দেশি মাছ নিয়েছি।” মানবাজারের পোদ্দারপাড়ার বাসিন্দা অরুন দত্ত বলেন, “দেশি মাছ একদমই পাইনি, তাই তিন কেজি অন্ধ্রের মাছ-ই নিয়ে যেতে হয়েছে।” পুরুলিয়া শহরে দেশি মাছের এদিন আমদানি হলেও মানবাজারে দক্ষিণের মাছই বেশি বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য দিন বেলা এগারোটার আগেই মাছের বাজার বন্ধ হলেও পুরুলিয়ার বড়হাটে এদিন প্রায় বিকাল পর্যন্ত মাছ বিক্রি হয়।

Post Comment