অমরেশ দত্ত, কেন্দা:
চিত্রটা এক। সে অযোধ্যা পাহাড় ও পাহাড়তলির বিভিন্ন গ্রামেরই হোক আর পুঞ্চা ব্লকের পানিপাথর অঞ্চলের বোরলবিঁধাই হোক। স্বাধীনতার ৭৬ বছর পার করেও এই অমৃতকালে দাঁড়ির জলকেই অমৃত ভেবে পান করেন তারা। পুঞ্চা ব্লকের বোরলবিঁধা আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। গ্রামে রয়েছে তীব্র জল সংকট। গ্রামে একটি নলকূপ রয়েছে ঠিকই, তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল পাওয়া যায় না। তাই গ্রামবাসীদের একমাত্র ভরসা দেড় কিলোমিটার দূরে ঝরনার জল। সেই ঝরনার জল খেয়ে জীবন ধারণ করতে হয় আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের সকলকেই। গ্রামের আদিবাসী মানুষজন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সহ সকলেরই এই ঝরনা বা দাঁড়ির জল একমাত্র ভরসা।

গ্রামে গিয়েছেন পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা ময়না মুর্মু, মানবাজার বিধানসভা বিজেপির আহ্বায়ক বাণীপদ কুম্ভকার, মানবাজার দু’নম্বর মন্ডল বিজেপির সভাপতি রাজেশ ধীবর সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব। তাদেরকে কাছে পেয়ে গ্রামের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরলেন গ্রামের মানুষ। গ্রামবাসীরা জানান, গ্রামে কোন সোলার লাইট নেই। টিউবওয়েল হয়েছিল। খারাপ অবস্থায় পড়ে আছে। আবাস তালিকাতে ওঠেনি অনেকেরই নাম। এভাবেই বঞ্চিত রয়েছে গ্রামবাসীরা। সুযোগ পেয়ে কি রাজনীতি করতে ছাড়বে বিজেপি? গ্রামবাসীদের সমস্ত কথা শুনে বিজেপি নেত্রী ময়না মুর্মু বলেন, এই হয়েছে তৃণমূলের উন্নয়ন। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের সাধারণ মানুষ বঞ্চিত রয়েছে। গ্রামে পানীয় জলের চরম সমস্যা রয়েছে। এখনও ঝরনার জল খেয়ে জীবনধারণ করতে হয় গ্রামবাসীদের। সেই জল পানে বিভিন্ন ধরনের রোগ অসুখের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
পানিপাথর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অম্বুজ গোপ বিজেপি নেতৃত্বের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, গ্রামের অনেকেই আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে। এছাড়াও গ্রামে তিনটি নলকূপ খনন করা হয়েছে। তবে গ্রামবাসীরা যদি নলকূপের জলের থেকে ঝরনার জলকে ভালো মনে করে তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার। নলকূপ খারাপ হয়ে থাকলে তা পঞ্চায়েতে জানালে নিশ্চয়ই সেটি মেরামত করা হবে। পাশাপাশি গ্রামের রাস্তার সমস্যা নিয়েও তিনি বলেন, ওই গ্রামে যাওয়ার জন্য কোন রাস্তা নেই ঠিকই। ফরেস্ট ল্যান্ডের ওপর দিয়েই মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তা তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তবে বনদপ্তরের অনুমতি না পাওয়ায় রাস্তার কাজ করা সম্ভব হয়নি।
Post Comment