অমরেশ দত্ত, মানবাজার:
বিড়ি, সিগারেট, গুটখা, মদ, গাঁজা, কোকেন, হেরোইন সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য মানব শরীরকে কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে?ফেন্সিডিল, ড্রেনড্রাইট, মরফিন যুব সমাজের মধ্যে কীভাবে অসুস্থ মানসিকতা গড়ে তুলছে? এই সব প্রশ্ন তুলে মাদক বর্জন সংক্রান্ত একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হল মানবাজারে।
পুরুলিয়া নেহরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং স্বপন – সুব্রত হাইস্কুল ও বিপদতারিণী মহিলা সমিতির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হল এই সেমিনার। এ দিনের সেমিনারে স্কুলের ছাত্র – ছাত্রী সহ যুবক – যুবতীদের কাছে জ্বলন্ত এই সামাজিক সমস্যা থেকে কী ভাবে দূরে থাকা যাবে, তা বিস্তৃত ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। যারা ইতিমধ্যে মাদকাসক্ত হয়েছেন, তাদের মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালের অন্বেষা ক্লিনিকে নেশা মুক্তির জন্য পাঠালে তাদের কাউন্সিলিং করা হবে বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা। বিড়ি, সিগারেট, গুটখা, মদ, গাঁজা, কোকেন, হেরোইন সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য মানব শরীরকে কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে, তাও সেমিনারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ফেন্সিডিল, ড্রেনড্রাইট, মরফিন ইত্যাদি বর্তমান যুব সমাজের মধ্যে যে অসুস্থ মানসিকতা গড়ে তুলছে, তা সবিস্তারে আলোচনা করে সকলকে সচেতন করা হয়।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সেমিনারের শুভ সূচনা করেন মানবাজার থানার পুলিশ আধিকারিক ইলোরা রক্ষিত। উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. শুভ্রকান্তি মাহাতো, জেলা পরিষদ সদস্যা প্রতিমা বাউরী প্রমুখ। নেশা করলে, বিশেষ করে আঠারো বছরের নিচে কেউ মাদকাসক্ত হলে, তাদের শাস্তি বিধানের যে সব ব্যবস্থা রয়েছে, সেই নিয়ম কানুনগুলি ব্যাখ্যা করেন পুলিশ আধিকারিক ইলা রক্ষিত ও সঞ্জীব সেন। ডা. শুভ্রকান্তি মাহাতো, কাউন্সিলার অঞ্জলী মাহাতো এবং স্বাস্থ্য সেবিকা বাসন্তী ঘটক সকলের কাছে মাদক বর্জনের প্রয়োজনীতা ব্যাখ্যা করেন। এ ছাড়াও, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নীলোৎপল দত্ত, অরূপ চক্রবর্তী, জয়ন্ত মন্ডল সহ বিশিষ্ট জনেরা। প্রোজেক্টরের সাহায্যে নেশার কুফল গুলি সেমিনারে উত্থাপন করেন শিক্ষক শুভেন্দু সৎপতি। আগামী ছয় দিন মানবাজারের বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাদক বর্জনের আবেদন জানাবেন সেমিনারে অংশগ্রহণকারী পড়ুয়ারা।
Post Comment