insta logo
Loading ...
×

জীবন বাঁচানোর মেলা আয়োজন করছে পুলিশ

জীবন বাঁচানোর মেলা আয়োজন করছে পুলিশ

বিশ্বজিৎ সিং সর্দার,পুরুলিয়া :

“সারা বছরে ভারতে পথ দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যান, সেই সংখ্যাটা আজ পর্যন্ত ভারত যতগুলো যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে সেগুলির মোট শহিদ সংখ্যার থেকে বেশি।” এমন পরিসংখ্যান দিলেন পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,” ১৯৪৮, ১৯৬২,১৯৬৫,১৯৭১ থেকে কার্গিল পর্যন্ত সমস্ত যুদ্ধে মোট শহিদের সংখ্যার কয়েকগুণ বেশি মানুষ আমাদের দেশে এক বছরে মারা যান পথ দুর্ঘটনায়। ভয়াবহ এই পরিসংখ্যান। একটা জীবন যা পথে ফেলে আসা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সেই বয়সটা ১৮ থেকে ৪৫ এর মধ্যে৷ সবচেয়ে সম্ভাবনাময় যে এজগ্রুপ, সেই বয়সের বিপুল সম্ভাবনাকে আমরা হারাই। আর একটা মৃত্যু মানে তার সংসার ভেসে যাওয়া। ” জেলা পুলিশ আয়োজিত ড্রাইভিং লাইসেন্স মেলার উদ্বোধন করে এভাবেই প্রতিটি জীবনের গুরুত্বের কথা ব্যক্ত করলেন জেলা পুলিশ সুপার।


সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য সাবধানে চালাতে হবে গাড়ি৷ আর গাড়ি চালানোর ছাড়পত্র মেলে যে লাইসেন্স মারফত সেই লাইসেন্স
বানানোর প্রক্রিয়াকে সরল করার জন্য পুরুলিয়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সৈনিক স্কুলের বিপরীতে এম ভি আই ড্রাইভিং টেস্টিং মাঠে উদ্বোধন হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স মেলা। মেলা বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দুই দিন চলবে। প্রথম দিন মফস্বল থানা এলাকার মানুষদের লাইসেন্স বানানোর জন্য প্রাধান্য দেওয়া হয়। আগামী দিনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের কর্মসূচি চলবে বলে জানা গেছে।

এদিন এমভিআই টেস্টিং মাঠে লাইসেন্স বানাতে উপস্থিত লোকেদের ভিড় ছিল দেখার মত। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার খোদ নিজের লাইসেন্স লার্নার নিয়ে নিজের গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা দেন। এমনকি লার্নার লাইসেন্স প্রাপ্ত করে নিজের গাড়ি নিজে চালিয়েই কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পাশাপাশি সমস্ত মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং ডিএসপি আধিকারিকেরা নিজেদের গাড়ি চালিয়ে কাজের জন্য রওনা দেন।

এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া সদর মহকুমা শাসক উৎপল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যোধাবর ভিম রাও সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আর.টি.ও অর্ণব চিন্না, এম.ভি.আই মহম্মদ বারিক, পুরুলিয়া পৌরপ্রধান নবেন্দু মাহালী প্রমুখ।

পুরুলিয়া ১ নিং ব্লকের ডিমডিহা অঞ্চলের শিবডি গ্রামের বাসিন্দা ফটিক চন্দ্র পান্ডে পুলিশের উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “মেলার ফলে লার্নার লাইসেন্স পাওয়া অনেক সহজ হয়েছে।” শুধু যে পুরুষরাই লাইসেন্স মেলায় অংশ নিয়েছিলেন তা নয়। প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারাও এসেছিলেন মেলায়৷ ডিমডিহা গ্রামের কমলা মাহাতো পুলিশের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ” লার্নার লাইসেন্স হাতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।”

Post Comment