নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: সুপার সাইক্লোন ডানার দাপটে কমলা সতর্কতা বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায়। আর এই দুই জেলার সীমান্তবর্তী পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান ব্লক ঘিরে শঙ্কায় পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। শুধু বান্দোয়ান নয়, লাগোয়া ব্লক মানবাজার ১ ও মানবাজার ২ নং ব্লকের দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন। সমস্যায় পড়লে মানুষজনকে যাতে ত্রাণ শিবিরে রাখা যায় তার সব রকম ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। তিন ব্লক মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার জনকে শিবিরে রাখা যাবে এমন প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। মহকুমা ধরে ধরে প্রত্যেকটি ব্লক এলাকায় কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে। বিভিন্ন দপ্তরের আলাদা কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে পুরুলিয়া পুরসভাতেও । বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিন এই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশন দিয়ে যাতায়াত করা মোট ২১ টি ট্রেনকে বাতিল করেছে রেল। ২৩ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এই তিন দিন ওই ট্রেনগুলি চলাচল করবে না।
সুপার সাইক্লোনে জেলা যাতে আঁধারে ডুবে না যায়, তার জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরকে সতর্ক থাকতে বলেছে প্রশাসন। পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন ) সুদীপ পাল বলেন, “সুপার সাইক্লোনের বিষয়ে বান্দোয়ান নিয়ে আমরা সামান্য চিন্তায় রয়েছি। তার পাশে দুই ব্লক মানবাজার ১ ও মানবাজার ২ মিলিয়ে আমরা ৫ হাজার জনকে আশ্রয় দিতে পারবো। এরকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে।”
পূর্ত দপ্তর প্রস্তুত, রাস্তায় গাছ পড়লেই দ্রুত গাছ কাটার যন্ত্র এবং মেশিনের সাহায্যে পরিষ্কার করে দিতে। এই কাজে মদত করবে সিভিল ডিফেন্সও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বান্দোয়ান, মানবাজার ১ নং এবং মানবাজার ২ নং ব্লকে মাইকিং করবে প্রশাসন। জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগও প্রস্তুত রয়েছে পানীয় জল নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়। জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রত্যেকটি ব্লক হাসপাতালে। ব্লকে ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রিপল রয়েছে, বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ডানার ঝাপটা পুরুলিয়ায় পড়লে চাষিরা সমস্যায় পড়বেন। কারণ জেলায় এখনও ধান পেকে ওঠেনি। ফলে ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা। এখন ঝড় বৃষ্টি হলে এক ফসলি পুরুলিয়ায় ধানের বিপুল ক্ষতি হবে। এই চিন্তাই ভাবিয়ে তুলেছে কৃষকদের।
Post Comment