insta logo
Loading ...
×

আর্থিক লেনদেনে পূর্ণিমা কান্দু ‘খুন’? বিস্ফোরক ভাইপো মিঠুন

আর্থিক লেনদেনে পূর্ণিমা কান্দু ‘খুন’? বিস্ফোরক ভাইপো মিঠুন

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালদা: নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুর ঘটনায় কি কোন আর্থিক লেনদেন? দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্তে এসে এমন গুরুতর অভিযোগ করেন মৃত পূর্ণিমা কান্দুর ভাইপো তথা তৃণমূল কাউন্সিলর মিঠুন কান্দু। স্লো পয়জন দিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে খুন করা হয়েছে এমন অভিযোগও করেন মিঠুন। পূর্ণিমা কান্দুর মৃত্যুতে রহস্য ক্রমেই বাড়ছে। উঠে আসছে ৭০ লাখ টাকার প্রসঙ্গ! মিঠুন বলেন, “কাকিমার বাড়িতে সিসিটিভি বন্ধ রয়েছে কয়েক দিন ধরে। কোন সুস্থ সবল মানুষ এভাবে হঠাৎ করে মারা যেতে পারেন না। কাকিমাকে স্লো পয়জন দিয়ে খুন করা হয়েছে। এর পেছনে আর্থিক লেনদেনের বিষয় রয়েছে। কাকু কাউকে টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা দেওয়া হয়নি। কাকিমার মৃত্যু এমনি এমনি হয়নি। তাকে চাপ দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত কিছু আমি যথাস্থানে বলবো।” মহানবমীর রাতে শুক্রবার ঝালদার স্টেশন পাড়ায় তার বাড়ি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান তথা কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে উদ্ধার করা হয়। তারপর তাকে দ্রুত ঝালদা ১ নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সেই সময় তার ছেলে-মেয়েরা ঘরে ছিলেন না। বাইরে ছিলেন তারা। ভাইপো মিঠুনও ছিলেন কাজে।

রবিবার দুপুর পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাননি মিঠুন কাঁদু। এদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্টের বিষয়ে তিনি ঝালদা থানায় যান। তাঁর কথায়, “রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই আমি অভিযোগ করব। তদন্তকারীদের কাছে সবকিছু বলব। তবে এই ঘটনায় রাজনীতির কোন বিষয় নেই।” তবুও সমগ্র ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলে নানান জল্পনা চলছে। ২০২২ সালের ১৩ই মার্চ বিকালে হাঁটতে বার হয়ে ঝালদা শহরের কাছে গোকুলনগরে আততায়ীর গুলিতে খুন হন তপন কান্দু। হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত করে সিবিআই। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট দেওয়ার পর ওই মামলা এখন পুরুলিয়া আদালতে বিচারাধীন। মিঠুন এই ঘটনারও সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। মিঠুন কংগ্রেসের প্রতীকে জয়লাভ করলেও পরবর্তীকালে তিনি শাসক দলে যোগদান করেন।

Post Comment