নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া
পুরুলিয়া জেলায় প্রায় ছ’মাস ধরে বন্ধ পড়ে রয়েছে একমাত্র কার্যকর ইলেকট্রিক চুল্লি। দু’টি চুল্লির মধ্যে একটি কোভিড–পর্বেই বিকল হয়ে গিয়েছিল, আর অপরটিও গত কয়েক মাস ধরে অচল। এর ফলে প্রতিদিন মৃতদেহ সৎকারে ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নিচে কাঠ জোগাড় করে দেহ দাহ করতে হচ্ছে।
টামনা থানার শিমুলিয়া গ্রামের কাছে পুরুলিয়া–জামশেদপুর ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত এই চুল্লি পুরুলিয়া পৌরসভার তত্ত্বাবধানে। প্রতিদিন ৪–৫টি মৃতদেহ আসে এই শ্মশানে। কিন্তু চুল্লি বন্ধ থাকায় পরিবেশ দূষণ, ধোঁয়া, কাঠ জোগাড়ের সমস্যা থেকে শুরু করে মানবিক অসুবিধা—সব দিক দিয়েই পরিস্থিতি ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।
চুল্লি অপারেটর সুকদেব সিং জানান, “দীর্ঘদিন ধরে চুল্লি বন্ধ। দেহ এলেও কিছুই করার উপায় নেই। বাধ্য হয়ে সবাই খোলা জায়গায় দাহ করছেন।” স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল পণ্ডিতের অভিযোগ, “অনেকদিন হয়ে গেল, তবুও মেরামতির কোনও উদ্যোগ নেই। আমরা চাই অবিলম্বে দু’টি চুল্লিই চালু করা হোক।”
পৌরসভার তরফে পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি আশ্বাস দিয়ে বলেন,
“চুল্লিটি বহু পুরোনো মডেলের। যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সৎকার সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। আধুনিক ইলেকট্রিক চুল্লি স্থাপনের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। নতুন পরিকাঠামো এলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”
তবে আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না পুরবাসী। তাঁদের দাবি—দ্রুত মেরামতি ও দুটি চুল্লিরই অবিলম্বে পুনরায় চালু করা হোক।











Post Comment