নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঘমুন্ডি : গৃহবধূ খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডিতে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঘমুন্ডি থানার নিধিয়াডি গ্রামের মুরুক টিকর টোলায়। মৃত গৃহবধূর নাম সুরভী কুমার। অভিযোগের তীর গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেওরের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করেছে বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম রাজেশ কুমার, বাসুদেব কুমার, রুমা কুমার ও প্রসেনজিৎ কুমার। মঙ্গলবার ধৃতদের পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে অভিযুক্ত স্বামী রাজেশের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি তিনজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , বিয়ের দু-বছরের মাথায় সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে সুরভী কুমারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় তার বাপের বাড়ির লোকজনদের। এরপর বাপের বাড়ির লোকের উপস্থিতিতে গৃহবধূকে উদ্ধার করে পাথরডি গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। কি কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা জানতে দেহটি ময়নাতদন্ত করানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে , সোমবার মৃতার বাবা ভোলা নাথ কুমারের শ্বশুরবাড়ি লোকের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের মামলা দায়ের করে। এর উপর নির্ভর করেই তদন্তে নেমে সোমবার রাতেই চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগকারী পুলিশকে জানিয়েছেন বিয়ের পর অতিরিক্ত দু লাখ পণের দাবি করে তার মেয়ের উপর অত্যাচার চালাতো শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। অতিরিক্ত পণের টাকা দিতে না পারায় অভিযুক্তরা ওই বধূকে নিশৃংস ভাবে খুন করেছে বলে মৃতা গৃহবধুর পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Post Comment