insta logo
Loading ...
×

আস্থায় রাস্তা পাচ্ছে বড়গোড়া

আস্থায় রাস্তা পাচ্ছে বড়গোড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:

পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন স্বয়ং পুলিশ সুপার। আর তারপরই রাস্তা পাচ্ছে বিচ্ছিন্ন বড়গোড়া। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের ‘আস্থা’ প্রকল্পের সামনে রাস্তার দাবি জানিয়েছিলেন বড়গোড়ার পাহাড়িয়া জনজাতির মানুষজন। সেই কথা মাথায় রেখেই গত ১১ ডিসেম্বর পাহাড়ি পথে মোটরবাইকে চেপে পুলিশের কর্তা সহ পুলিশ কর্মীদের নিয়ে তিনি অযোধ্যা পাহাড়ের ২০০০ ফুট উঁচু ওই গ্রামে পা রেখেছিলেন। তাদের প্রস্তাব বিডিওর মাধ্যমে যায় জেলাশাসকের কাছে। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পুরুলিয়া জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে হবে রাস্তা।শনিবার অযোধ্যা হিলটপের রাঙাতে জেলা পুলিশের ‘আস্থা’ প্রকল্পের শিবিরে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই সঙ্গে তিনি সাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ” উন্নয়নের কাজে যারা বাধা দেবে তাদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স। ” অর্থাৎ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ।

বড়গোড়া গ্রামের বাসিন্দা তথা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী সুমিত্রা পাহাড়িয়া বলেন, ” বড়গোড়া থেকে আমকোচা রাস্তার জন্য বহুবার বাঘমুন্ডি ব্লকে গিয়েছি। ব্লক প্রশাসন রাস্তার প্রকল্প হাতে নিয়েও ওই রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করেনি। যে ঢালাই রাস্তা করা হয়েছিল তা এতটাই নিম্নমানের, যে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। আমি পুলিশের খাটিয়া বৈঠকে এসপি সাহেবকে এই কথা বলেছিলাম। তিনি কথা রেখেছেন। রাস্তা হলে আর বিচ্ছিন্ন থাকবে না বড়গোড়া।” গ্রামের বাসিন্দা নাগর পাহাড়িয়া, হারাধন পাহাড়িয়া বলেন, ” রাস্তা হলে স্থায়ী ভাবে পানীয় জলেরও সমাধান হবে। ” আর ‘দাঁড়ি’ খুঁড়ে জল আনতে যেতে হবে না। রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হবে না ডুলি করে।

পুলিশ সুপারের কাছে গ্রামের মানুষজন মোট চারটি
রাস্তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বড়গোড়া থেকে আমকোচা। আমকোচা থেকে ছাতরাজেরা। আমকোচা থেকে তিলাগোড়া। তিলাগোড়া থেকে খুনটাড়। জেলা পরিষদ ছাড়াও ব্লক থেকেও ওই প্রকল্প ধরা হবে। মূলত অগ্রাধিকারের ভিত্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) রানা বিশ্বাস বলেন, ” পুলিশ সুপার বেশ কয়েকটি রাস্তার প্রস্তাব দিয়েছেন। জেলা পরিষদের পাশাপাশি ব্লক স্তরেও প্রকল্প নেওয়া হবে। সবটাই প্রক্রিয়াতে রয়েছে। “

জেলা পুলিশের আস্থা প্রকল্পের জন্যই রাস্তা মিলছে বলছেন এলাকাবাসী। শনিবার অযোধ্যা হিল টপের রাঙার ‘আস্থা’ প্রকল্পের শিবিরে প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি মানুষ সরকারি পরিষেবা নেন। প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিতে রীতিমতো বাসে করে তাদের শিবিরে নিয়ে এসে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করে আবার নিজের গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়।

এই শিবির থেকে রাস্তা নির্মাণের খবরে ভীষণ খুশি বড়গোড়ার পাহাড়িয়া জনজাতির মানুষজন। ওই দিন বড়গোড়া গ্রাম ঘুরে পুলিশ সুপার সেখানকার মানুষজনদের আশ্বাস দিয়েছিলেন রাস্তা হবে। তিনি কথা রাখায় ওই পাহাড়চূড়া গ্রামের মানুষজন ভীষণই উচ্ছ্বসিত।

Post Comment