দেবীলাল মাহাতো, জয়পুর :
ঝাড়খণ্ড লোকতান্ত্রিক ক্রান্তিকারী মোর্চার এখনও পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে কোনও সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। তবু শুধু ‘টাইগার’-এর আবেগেই এ দিন সভাস্থলে উপচে পড়ল ভিড়। জনসভাস্থলে গাড়ি থেকে জয়রাম নামতেই জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে— কেউ কাঁধ বাড়িয়ে দেয়, কেউ হাত তুলে তাকে ছুঁতে চায়। শেষমেশ সাধারণ মানুষের সেই কাঁধে চেপেই মঞ্চে ওঠেন তিনি।
মঞ্চ থেকেই জঙ্গলমহলের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরাসরি আক্রমণ করলেন রাজ্য সরকারকে।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে জয়রাম বলেন, “দিদি বলছেন খেলা হবে, খেলা হবে। কিন্তু খেলা হচ্ছে কোথায়? সব খেলা হচ্ছে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে— কখনও সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে, কখনও শাহরুখ খানের সঙ্গে। আর সেই সময় জঙ্গলমহল উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।” তাঁর প্রশ্ন, রুটি চাইছেন জঙ্গলমহলের মানুষ। রুটি আসবে কলকারখানা, চাকরি, প্রকৃত উন্নয়নের পথে। “কিন্তু তা কোথায়? তাই চাই আন্দোলন।”

অযোধ্যা পাহাড়ের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “অসংখ্য হোটেল, রিসর্ট গড়ে উঠেছে, কিন্তু এখানকার মানুষদের হাতে মিলছে শুধু ঝাড়ুদার কিংবা গেটম্যানের কাজ। এটা চলতে পারে না।” তাঁর বার্তা স্পষ্ট— “জল, জঙ্গল, জমি— যেখানেই লুঠ হবে, সেখানেই আন্দোলন হবে।”ঘোষণা করেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড লোকতান্ত্রিক ক্রান্তীকারী মোর্চা পশ্চিমবঙ্গেও প্রার্থী দেবে। তবে কত আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করেননি।
কেন তাঁকে ‘টাইগার’ বলা হয়— তার উত্তর যেন চোখের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই উন্মাদনায় মিলে যায়। ঝাড়খণ্ডের পর বাংলার জঙ্গলমহলও এ দিন যেন দেখল সেই ‘টাইগার’-তেজ। এমনটাই মত ঝাড়খণ্ড লোকতান্ত্রিক ক্রান্তিকারী মোর্চার নেতৃত্বের। তাঁদের দাবি, সংগঠন না থাকলেও আবেগ, জনপ্রিয়তা আর অদৃশ্য টানই রচনা করেছে নতুন এক গণআন্দোলনের ছবির খসড়া।











Post Comment