নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :
সামনেই ছাব্বিশের বিধানসভা। আর তার আগে পুরুলিয়া জেলার অবশিষ্ট ১০টি মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা করল জেলা বিজেপি। আর এই ১০ জনের ১০ জনেরই অভিষেক এবার। নতুন মুখ কি পারবে অ্যাসিড টেস্ট সামলাতে? আইপিএল অভিষেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অশ্বিনী কুমার চার উইকেট তুলে হারিয়েছেন কলকাতাকে, তেমন কিছু ক্যারিশ্মা কি দেখাতে পারবেন বিজেপির নবাগতরা? প্রশ্ন উঠছে।
আর এই প্রশ্ন নিয়েই বিজেপির নতুন জেলা সভাপতি জেলার মোট ৩৬ টি মণ্ডল সভাপতি, মণ্ডল ইনচার্জ, অঞ্চলের ইনচার্জ ও বিধানসভার ইনচার্জদের নিয়ে
দলীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসলেন। বৈঠকে রয়েছেন রাজ্য নেতৃত্বও। দলের জেলা পার্টি অফিস গাড়িখানা কার্যালয়ে বৈঠকে ২৬-এর বিধানসভায় বিজেপি কীভাবে লড়বে তারই ব্লু প্রিন্ট নিয়ে হবে আলোচনা। পুরুলিয়া জেলাকে মোট ৩৬টি মণ্ডলে ভাগ করেছে বিজেপি। গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২৬ টি মণ্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা হলেও বাকি ছিল ১০ মণ্ডলের সভাপতির নাম ঘোষণা। তারা প্রত্যেকে রাজনীতিতে আনকোরা না হলেও এই পদে নবাগত।
তবে মণ্ডল সভাপতিদের একটা বড়ো অংশ নবাগত হলেও ঘর গুছিয়ে নেতে তৎপর গেরুয়া শিবির। জেলায় তাদের সদস্য সংখ্যা বাড়লো ৩৫ হাজার। বর্তমানে অনলাইনে এই জেলায় বিজেপির মোট সদস্য সংখ্যা হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ২০০। ২০২১ সালে ছিল প্রায় ৮০ হাজার। ফলে সদস্য সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। গত লোকসভা ভোটে পুরুলিয়া আসনে বিজেপি জয়লাভ করলেও ২০১৯ সালে যেখানে ২ লাখের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সেখানে ২০২৪ সালে জয়ের মার্জিন ১৭ হাজারের সামান্য বেশি।
ফলে মণ্ডল সভাপতিদের সামনে চ্যালেঞ্জ দুটো। ১) বেড়ে যাওয়া সদস্যদের সুসংহত রাখা। ২) লোকসভা ভোটের ড্যামেজ কন্ট্রোল করা।
এই ক্রান্তিলগ্নে কেন নবাগতদের ওপর জোর দিচ্ছে বিজেপি? উত্তর লুকিয়ে দলের নতুন বিধিতে। বিজেপিতে মন্ডল সভাপতির ক্ষেত্রে এবার নতুন বিধি হয়েছে ৪৫ বছর পার হলে তাদেরকে আর মন্ডল সভাপতি রাখা যাবে না। পাড়া, কাশিপুর, মানবাজার, জয়পুর বিধানসভার যে মণ্ডল সভাপতিগুলির পরিবর্তন হয়েছে তা সবকটি ওই বয়সজনিত কারণে। পুরুলিয়া বিধানসভায় মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে আগের সভাপতির মৃত্যু হওয়ায়। বলরামপুরের যে চারটি মণ্ডল সভাপতির পরিবর্তন হয়েছে তার মধ্যে প্রত্যেকের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। দলের বিধি আছে, একই পদে একজন দুবারের বেশি থাকতে পারবেন না। একবারের ক্ষেত্রে মেয়াদ ৩ বছর।
পুরুলিয়া জেলা বিজেপির নতুন সভাপতি শঙ্কর মাহাতো বলেন, “পুরুলিয়ায় গোটা তৃণমূল দলটাই এখন ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে। আমাদের কেউ কোথাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন না। আমি দায়িত্ব নিয়েই স্পষ্টভাবে বলেছিলাম, পুরুলিয়া সাংগঠনিক জেলায় সবকটা বিধানসভাতেই আমরা জিতব।”
Post Comment