অমরেশ দত্ত ও বিশ্বজিৎ সিং সর্দার :
হাড়কাঁপানো শীত আর নেই। তবু শীতের ছোবল উপেক্ষা করে রাজ্যের ন’টি জেলার ৭৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছে ওরা, তাও সাইকেলে চেপে। আর্জি একটাই, “ছোট নদীর দিকে নজর দিন, প্রজন্মের যত্ন নিন” এই লক্ষ্যে সাইকেল র্যালির টিম বুধবার এসে পৌঁছাল মানবাজারে। “ছোট নদীর দিকে নজর দিন প্রজন্মের যত্ন নিন” এই লক্ষকে সামনে রেখে ‘নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও’ মঞ্চের উদ্যোগে ১৮ জানুয়ারি শুরু হয়েছে সাইকেল র্যালি। এই কর্মসুচি চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

প্রতিনিয়ত পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। যার ফলে বদল হচ্ছে নদীর রূপ । বদলে যাচ্ছে নদীর জল ধারণের গতিপথ। তাই নদী বাঁচানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছেন তারা। নদী বাঁচাও কমিটির উদ্যোগে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে, নদী বাঁচানোর স্লোগান তুলে নদী বাঁচানোর প্রচার চালানো হয় পুরুলিয়া শহরেও। গত ১৮ই জানুয়ারি বীরভূমের ময়ূরাক্ষী থেকে এই প্রচার শুরু হয়। সেই প্রচার পথে থাকলো অহল্যাভূমি পুরুলিয়াও। পুরুলিয়ার কংসাবতী সহ আরো অন্যান্য ছোট নদীগুলি বাঁচানোর প্রচার চালানো হবে বলে জানিয়েছেন নদী বাঁচাও জীবন বাঁচাও আন্দোলনের জাতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাপস দাস ও কল্লোল রায়।

যেভাবে রাজ্যের প্রতিটি নদী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাতে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে সকলকে। বিভিন্ন জায়গায় নদী ভরাট করে চলছে নির্মাণের কাজ। তাই নদী বাঁচানোর জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এমনই মত পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক নয়ন মুখার্জির।
আন্দোলনকারীরা পাশে পেয়েছেন প্রথিতযশা সাহিত্যিক সৈকত রক্ষিতকে। আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন গল্পকাল রথুলাল মুখোপাধ্যায় সহ জেলার বুদ্ধিজীবী মহল।
তাঁদের কথায়, জলের অপর নাম জীবন। তবে যে হারে জল দূষণ হচ্ছে তাতে ক্ষতি হচ্ছে নদীর। তাই এই নদী বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে নদী বাঁচাও কমিটি।
Post Comment