বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, বলরামপুর:
তিনি নাকি রক্ত পিয়াসী। নরমুণ্ডের মালা গলায় ঘোর শ্মশানচারিনী। একদিন ছিল নরবলি, মহিষ বলিদান পার করে ছাগ রক্তে নাকি তৃপ্ত হন দেবী। রক্তপাতের এই মহোৎসবের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে বলরামপুরের বন শ্যামা।
পুরনো রীতি ও ঐতিহ্য মেনেই পূজিত হন বলরামপুর বনবিভাগের শ্যামা কালী। কালীপুজোর ওই দুই দিনের পুজোকে ঘিরে কর্মচারীদের মনে লক্ষ্য করা যায় প্রবল উন্মাদনা। সারা বছর ধরে এই পুজোর অপেক্ষায় থাকেন বন দপ্তরের সমস্ত কর্মচারী। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরেও বলরামপুর বনদপ্তরের চত্বরে পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে।
বনদপ্তরের অন্তর্গত নার্সারীর এক প্রবীণ কর্মচারী জানিয়েছেন বলরামপুর বনদপ্তরে কালীপুজো ৯০ এর দশকের সময় শুরু হয়েছিল। তৎকালীন বনদপ্তর আধিকারিক ছিলেন মজুমদার বাবু। তিনি এখানে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তাঁর উদ্যোগে এই পুজো প্রথম শুরু হয়। আর তখন থেকেই পুরনো রীতি মেনে পুজো হয়ে আসছে প্রতি বছর।
বিভিন্ন জায়গায় কালী পুজোতে বলির প্রথা থাকলেও বলরামপুর বনদপ্তর এর কালী পুজোতে পশু বলির প্রথা নেই। এখানে প্রচলিত আছে কুমড়ো বলির প্রথা। প্রথম থেকেই এই রীতি চলে আসছে। ওই কুমড়ো দিয়ে তৈরি হয় খিচুড়ি প্রসাদ। শুধু বনদপ্তর এর কর্মচারীরাই নন, আগত সমস্ত ভক্ত ওই প্রসাদ গ্রহণ করেন।
Post Comment