insta logo
Loading ...
×

মশলার মিশেলে মানুষ হলো গরু! কারখানায় হানা টাস্ক ফোর্সের

মশলার মিশেলে মানুষ হলো গরু! কারখানায় হানা টাস্ক ফোর্সের

নিজস্ব প্রতিনিধি , পুরুলিয়া:

মজাসে আয়েশ করে কামড় দিয়েছেন লেগপিসে। কিন্তু যদি শোনেন যে মশলা দেওয়া হয়েছে রান্নায় তাতে মিশে আছে গবাদি পশুর খাবার? নিজেকে গরু গরু মনে হবে না?
এমনই মারাত্মক অভিযোগ পুরুলিয়া শহরের এক মশলা কারখানার বিরুদ্ধে। আচমকাই আজ বুধবার পুরুলিয়া শহরের রথতলার একটি মশলা কারখানায় হানা দিল টাস্ক ফোর্স। আর তাতেই রীতিমতো চক্ষু চড়ক গাছ। খাবারের মশলা তৈরিতে হচ্ছে ব্যাপক হারে বেনিয়ম। রং , তুষ , গবাদিপশুর খাবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে মশলা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কারখানার মশলা।বাজারে ব্যবহৃত নানান সাধারণ রঙ সেই সঙ্গে গবাদি পশুর খাবার ও তুষ বাজেয়াপ্ত করে টাস্ক ফোর্স। সেইসঙ্গে ওই কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ডিস্ট্রিক্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। তবে এদিন কারখানার মালিককে পাওয়া যায়নি। দুই কর্মচারীদেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে টাস্ক ফোর্স। তবে তেমন কিছুই বলেননি তারা। টাস্ক ফোর্সের অভিযানের নেতৃত্ব দেন পুরুলিয়া সদর মহকুমাশাসক উৎপলকুমার ঘোষ। তিনি বলেন, “এই মশলা কারখানায় মশলা তৈরিতে বেনিয়ম ধরা পড়েছে। নানা ধরনের রঙ, তুষ ও গবাদি পশুর খাবার এসব বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল যে পুরুলিয়ায় বিভিন্ন মশলা কারখানায় চলছে ব্যাপক অনিয়ম। অভিযোগের ভিত্তিতেই পুরুলিয়া শহরের রথতলায় হানা দিয়েছিল টাস্ক ফোর্স। টিমে মহকুমাশাসক ছাড়াও ছিলেন ডিএসপি ডিইবি জীবনেশ রায়, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ২ মহুয়া মাহান্তি, খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক তুহিন পাত্র প্রমুখ। কারখানায় পৌঁছে তাঁরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন অনিয়ম। তাঁরা দেখেন বিভিন্ন মশলার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে রঙ। চোখ কপালে ওঠে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের মনে হয়েছে ফুড কালার নয় বাজারের সাধারণ রঙ মেশানো হচ্ছে। তবে তা নিশ্চিত করতে নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হবে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের ডিএসপি ডিইবি জীবনেশ রায় বলেন, “কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। ” এমন অভিযান ধারাবাহিক ভাবে চলবে বলে জানিয়েছে টাস্ক ফোর্স।

Post Comment