বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, বলরামপুর :
এ যেন চোখ থেকে কাজল চুরি।গয়না মেজে দেওয়ার নাম করে সোনার চেন নিয়ে চম্পট দিল দুস্কৃতিরা।
দুস্কর্মের নতুন ফাঁদ বলরামপুরে।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে বলরামপুর থানার অন্তর্গত কালীতলা বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তরের অদূরে একটি বাড়িতে। বাড়িতে অলংকার পরিষ্কার করতে আসার নাম করে এক বৃদ্ধার গলার চেন নিয়ে চম্পট দেয় ২ যুবক।
অলংকার খোওয়ানো বৃদ্ধা সন্ধ্যা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, “কোম্পানির সোনার রুপোর মূর্তি ও অলংকার মাজার নাম করে সোওয়া বারোটা নাগাদ দুজন যুবক বাড়িতে আসে। বাড়িতে তখন শুধুমাত্র আমি এবং কাজের মহিলা ছিলাম। ছেলে ও ছেলের বউ বাইরে গিয়েছে চিকিৎসার জন্য। নাতি ছিল দোকানে।
কোম্পানি থেকে তাদের সোনার দিয়ে তৈরি মূর্তি এবং অলংকার পরিষ্কার করার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে ওই দুই যুবক নিজেদের পরিচয় দেয়।
প্রথমে তারা সোনার তৈরি মূর্তি পরিষ্কার করে দেওয়ার কথা বলে। আমাদের বাড়িতে সোনা রুপো দিয়ে তৈরি মূর্তি নেই বলে জানাই। তখন তারা হাতে থাকা চুড়ি মাজার জন্য নেয়। পরে গলার চেন মেজে দেওয়ার জন্য চায়। তারা নিজেরাই খুলে মেজে দেওয়ার কাজ শুরু করে। তারা সাদা পাউডার দিয়ে মাজা শুরু করে তারপর ওই চেনটি একটি প্যাকেটে ভরে দেয় এবং বলে এখন প্যাকেট থেকে চেনটি বের করবেন না। এই বলে তারা বেরিয়ে চলে যায়। পরবর্তী সময়ে প্যাকেটটি খুলে দেখি প্যাকেটের চেনটি নেই।
ফোন করে নাতিকে দোকান থেকে ডাকি। সে এসে পুলিশে খবর দেয়।”
বৃদ্ধা মহিলার নাতি রাতুল ব্যানার্জি জানিয়েছেন,” দুপুর ১২টা ৩৫ নাগাদ যখন দোকান বন্ধ করছিলাম তখন ঠাম্মার একটি ফোন পাই। সাথে সাথে বাড়িতে ছুটে আসি। বাড়িতে এসে বিষয়টি ঠাম্মার কাছ থেকে জানার পর নিজের বাইকে করে গিয়ে বলরামপুর টাউন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু ওই দুই যুবককে আর খুঁজে পাই নি। ১০-১৫ মিনিট ধরে খোঁজার পর বিষয়টি বলরামপুর থানাতে জানাই। বিষয়টি জানানোর সাথে সাথে আমাদের বাড়িতে পুলিশ আসে এবং অতিসত্বর ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার কিনারা করতে বলরামপুরের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি খতিয়ে দেখার মধ্য দিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে বলরামপুর থানার পুলিশ।
Post Comment