বিশ্বজিৎ সিং সর্দার, বলরামপুর :
স্কুল না ডব্লিউ ডব্লিউই-র ময়দান! চলতি মরশুমে মর্নিং স্কুলের প্রথম দিনই স্কুল হয়ে উঠল
কুরুক্ষেত্র। পড়ুয়াদের সামনেই দুই শিক্ষক জড়িয়ে পড়লেন তুমুল লড়াইয়ে। বিদ্যালয়ে আসতে হলো পুলিশকে। ঘটনা বুধবার। পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর থানার শ্যামনগর নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয় যুযুধান দুই শিক্ষকের লড়াইয়ে হয়ে উঠল উত্তপ্ত। ঝামেলার সূত্রপাত বিদ্যালয়ের ছাত্র হাজিরা ও মিডডে মিল নিয়ে। প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ মাহাতো ও সহ শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর দাসের মধ্যে বচসা গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। ঝামেলা দেখে স্কুলে চলে আসেন অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ মাহাতো বলেন, “আমি স্কুলে গিয়ে মিডডে মিলের তদারকি করছিলাম। সেই সময় আমার সহকারী শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর দাস আমাকে আজকের উপস্থিতির খাতাটি চেয়ে জানতে চান কতজন এসেছে। আমি ওঁকে রান্নার দায়িত্ব নিতে বলি। তখন উত্তেজিত হয়ে আমার ওপর চড়াও হন তিনি। আত্মরক্ষা করতে গিয়ে আমিও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ি।”

অন্যদিকে সহ শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর দাস বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা করব বলে খাতা চাইতে গিয়েছিলাম। তাতে উনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে আক্রমণ করেন।”
দুপক্ষই অভিযোগ জানিয়েছেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮২ জন পড়ুয়া আছে। তিনজন শিক্ষক তাদের পাঠদান করেন।
অভিযোগ বিষয়ে বলরামপুর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সেবা মাহাতো বলেন, “আজকের ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের স্পষ্ট হুমকি, এমন ঘটনা ঘটলে স্কুলে তালা ঝোলাবেন তাঁরা।







Post Comment