দেবীলাল মাহাত,আড়শা
বিধানসভা ভোটের আগে ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল সেতু তৈরির কাজ। তারপর শিলান্যাসের পর পার হয়ে গিয়েছে আট- আটটি বছর। কংসাবতী নদীর ওপর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। এক ভোট শেষে আবার ভোট এসেছে। বারবার মিলেছে প্রতিশ্রুতি ।কিন্তু সেতু আর তৈরি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের সমস্যা মেটাতে ফি বছর গ্রামবাসীরা তৈরী করেন বাঁশের সাঁকো। কিন্তু নদীতে বান আসার সাথেসাথে প্রমাদ গুনতে থাকেন এলাকার মানুষজন। কারন বৃষ্টির তোড়ে যে কোনো সময় ভেসে যেতে পারে কষ্টেসৃষ্টে গড়ে তোলা বাঁশের সাঁকো। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,কাটাবেড়া-বামুনডিহা ঘাটে সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের।সেই দাবি মেনে বিধানসভা ভোটের আগে কংসাবতী নদীর ওপর পুরুলিয়া ১ নং ব্লকের কাটাবেড়া ও আড়শা ব্লকের বামুনডিহা ঘাটে সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল । সেতুর শিলন্যাস করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের তৎকালীন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো । পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে বরাদ্দ করা হয় ৯কোটি ২৪লক্ষ টাকা।কাজের দায়িত্ব পায় ম্যাকিনটস বার্ন লিমিটেড। কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ বছর। প্রথম বছর দ্রুতগতিতে কাজ হলেও ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে অজ্ঞাত কারনে থমকে যায় সেতু তৈরির কাজ।তারপরেই শেষ হয়ে যায় এই মেগা প্রকল্পের কাজ। মাঝপথে সেতুর কাজ থমকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তিনটি বিধানসভার প্রায় ৫০হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ফি বর্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের অস্থায়ী সেতু বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নদী পেরোতে হয় এলাকার মানুষজনকে
। কিন্তু বর্ষাকাল এলেই সাঁকো নিয়ে দুর্ভোগ বাড়ে। অনেকবার বানে বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে। তাই নদীতে বান এলেই রাত জেগে সাঁকোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।এই বুঝি তলিয়ে গেল সাঁকো।স্থানীয় বাসিন্দা রমেশচন্দ্র মাঝি , মধুসূদন মাহাতো জানান, “প্রতিবার ভোটের আগে সেতুর কাজ সমাপ্ত করার প্রতিশ্রুতি মেলে। কিন্তু তা আর বাস্তবায়িত হয় না। “
আসলে এটাই যেন নিয়তি হয়ে গিয়েছে এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষজনদের!










Post Comment