
সুজয় দত্ত
ই-মেইল:duttasujoy0@gmail.com
যোগাযোগ:৯৭৩২০৭৫৫০১
বিদ্যাসাগরকে অনুদান দেওয়ার নামে একপাটি জুতো দিয়েছিলেন অযোধ্যার মহারাজা। না অপমান করতে এমনটা করা হলেও বিদ্যাসাগর এর থেকেই খুঁজে নিয়েছিলেন সমস্যা সমাধানের পথ। কী সেই আশ্চর্য পথ? জানালেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রাথমিক প্রলয়েন্দু ভৌমিক। পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৫তম জন্মদিনে জেলা শিক্ষা ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলে সকলকে চমকে দেন তিনি৷ উপস্থিত ছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মাধ্যমিক গৌতমচন্দ্র মাল ডিস্ট্রিক্ট মাস এডুকেশন অফিসার এবং পশ্চিমবঙ্গ ফেডারেশন বিদ্যালয় পরিদর্শক শাখা ও বিদ্যালয় পরিদর্শক সমিতির নেতা কর্মীরা। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানালেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্নে অর্থ আদায়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বিদ্যাসাগর৷ গিয়েছেন অযোধ্যার রাজার কাছে। অনুদান দেওয়ার বদলে বিদ্যাসাগরের দানের ঝুলিতে নিজের একপাটি জুতো ফেলে দিলেন রাজা৷ বিদ্যাসাগর রাগলেন না। বরং ধন্যবাদ জানিয়ে বেরিয়ে এলেন রাজভবন থেকে আর বেরিয়েই নিলামে চড়ালেন রাজার জুতো৷ হাজার টাকায় বিক্রি হলো রাজার পাদুকা৷ বিদ্যাসাগরের প্রত্যুৎপন্নমতিত্বে চমকে গেলেন রাজা। এবার বিদ্যাসাগরকে ফের দরবারে ডাকলেন তিনি। দিলেন এক হাজার টাকা অনুদান।
এই ছিলেন বিদ্যাসাগর। যেখানে আশার কিরণ নেই, সেখানে তিনি নিজেই আশার মশাল।
( লেখকের মতামত নিজস্ব )
Post Comment