নিজস্ব প্রতিনিধি , মানবাজার:
ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী সহজ সরল গ্রাম্য জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ খাট বা খাটিয়া। অতীতে তো বটেই, এখনও গ্রামে গঞ্জে খাট পেতে অভ্যর্থনা করা হয় অতিথিকে। সহজে স্থানান্তরিত করা যায়। তাই যে কোনও গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে খাট ব্যবহার করা হয়।
খাট বিক্রেতা নির্মল কর বলেন, “রুজিরুটির তাগিদে সারা সপ্তাহে বলরামপুর, বরাবাজার, সিন্দ্রি সহ বিভিন্ন জায়গা যেতে হয়। খাটের দাম ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। আজ মানবাজারে এসেছি, বিক্রি মোটামুটি ভালো। ” খাট বিক্রেতা সঞ্জিত গরাই বলেন, “প্রতি সপ্তাহে মানবাজার আসতে হয়। এখনো পর্যন্ত দড়ি খাটের বাজার বেশ ভালো। “
খাট কিনতে আসা এক ক্রেতা আনন্দ বাউরী বলেন, “প্রত্যেক বাড়িতেই পালঙ্ক ও তক্তা থাকলেও খাটের গুরুত্ব রয়েছে। শুধুমাত্র গরমকালেই নয়, সবদিনই খাটের প্রয়োজন। ” পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, “খাট ওজনে কম। এর ফলে গ্রামের পুকুরপাড়ে, গাছতলায়, বাড়ির বারান্দা সহ বিভিন্ন জায়গাতে ব্যবহার করা যায়।”
শুধু গ্রামেই নয়, বহনযোগ্যতার কারণে পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও খাটের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এখনও পুরুলিয়া জেলার বলরামপুর, বরাবাজার, মানবাজার সহ বাঁকুড়ার বিভিন্ন স্থানে খাটের ব্যাপকহারে চাহিদা রয়েছে।
Post Comment