দেবীলাল মাহাত,আড়শা :
গ্রামের প্রতি তার নাড়ীর টান। তাই সুযোগ পেয়েই গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (দ্বিতীয় সেশনে ) দেশের মধ্যে প্রথম স্থানাধিকারী দেবদত্তা মাঝি। তার একের পর এক সাফল্য গর্বিত করেছে নিজের জেলাকে। সেই সোনার মেয়েকে সংর্বধনা দিল আড়শা ব্লক প্রশাসন। বৃহস্পতিবার আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে তাকে নিয়ে হয় অনুষ্ঠান।

জঙ্গলমহল আড়শা ব্লকের জামবাদ গ্রামের আদি বাসিন্দা এই মেধাবী ছাত্রীটি। বাড়িতে থাকেন সকল আত্মীয়স্বজন। তবে দেবদত্তার বাবা জয়ন্ত মাঝি ও মা শেলি দাঁ কর্মসূত্রে বর্তমানে থাকেন কাটোয়াতে। দেবদত্তা মাঝি ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। দুবছর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে সেরা হয়েছিল দেবদত্তা।তারপর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (প্রথম সেশনে) রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করার পর দ্বিতীয় সেশনে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে।

এবার সুযোগ পেয়ে ছুটি কাটাতে জামবাদ গ্রামে এসেছে দেবদত্তা ও তার বাবা মা। বৃহস্পতিবার তাকে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা জানান আড়শা ব্লক প্রশাসন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আড়শা ব্লকের বিডিও গোপাল সরকার, আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বরূপ মাঝি সহ পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন কর্মাধ্যক্ষরা। পরিবারের থেকে উপস্থিত ছিলেন দেবদত্তার বাবা জয়ন্ত মাঝি,মা শেলি দাঁ, দাদু নিধিরাম মাঝি, ঠাকুমা পুটকি মাঝি, জেঠু প্রমথনাথ মাঝি প্রমুখ। আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বরূপ মাঝি জানান, “বর্তমানে তার পরিবারের লোকেরা কাটোয়াতে থাকলেও তাদের আদি বাড়ি আড়শা ব্লকের জামবাদ গ্রামে। তার সাফল্য উজ্জ্বল করেছে ব্লকের নাম।তাকে সংবর্ধনা দিতে পেরে ভালো লাগছে । “

আড়শা ব্লকের বিডিও গোপাল সরকার জানান, ” দেবদত্তা ভবিষ্যতে সাফল্যের সাথে আরও এগিয়ে যাক। “
গ্রামের বাড়িতে এসে এমন সংবর্ধনা পেয়ে খুশি দেবদত্তাও । দেবদত্তা জানায়, প্রযুক্তির কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করার ইচ্ছা রয়েছে তার। এদিন আড়শা থানার পক্ষ থেকেও তাকে সংবর্ধনা জানানো হয় । উপস্থিত ছিলেন আড়শা থানার ওসি বিশ্বজিৎ সরকার সহ পুলিশ আধিকারিকেরা।
Post Comment