insta logo
Loading ...
×

কে মেরেছিল বাবাকে? এ কী বললেন বিধায়ক?

কে মেরেছিল বাবাকে? এ কী বললেন বিধায়ক?

নিজস্ব প্রতিনিধি, বোরো :

শহিদ পিতার স্মরণে রক্ত দিলেন স্বয়ং বিধায়ক। আর তারপর বললেন এমন এক কথা যা শুনলে চমকে উঠবেন।

জেলায় রক্তের সংকট বেড়েই চলেছে। রক্ত সংকট মেটাতে শহিদ স্মরণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করল তৃণমূল। সেখানে স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেন তৃণমূলের কর্মীরা। মঙ্গলবার বোরোর বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা শহিদ জাগরণ চন্দ্র সরেন স্মরণে ৪২ তম শহিদ দিবসে রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়। এদিন মানবাজার ২ নং ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে বোরোর বসন্তপুর হাইস্কুলে রক্তদান শিবিরটি অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে বসন্তপুর মোড়ে জাগরণ চন্দ্র সরেনের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল নেতারা। এদিন রক্তদান শিবিরে ৮১জনেরও বেশি তৃণমূলের কর্মীরা রক্তদান করেন । এদিন রক্তদানে অংশ নেওয়া তৃণমূল কর্মীদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

রক্তদান করেন শহিদ জাগরণ চন্দ্র সরেনের ছেলে বিধায়ক তথা পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি রাজীব লোচন সরেন। পাশাপাশি বসন্তপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের হাতে ফল বিতরণ করা হয়। এদিন রক্তদান শিবির কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কালীপদ সরেন, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শান্তিরাম মাহাতো, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো সহ অনান্যরা। বিধায়ক বলেন, “আমরা তখন খুবই ছোট। বাবা আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সিপিএমের হার্মাদদের হাতে খুন হন। বিরোধী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে। সেই সময় আসল যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত বদলে দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে প্রত্যেক বছরই আজকের দিনে স্মরণ সভা হয়ে আসছে। এবারে পুরুলিয়া ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তের সংকট থাকায় যাতে রক্ত সঙ্কট মেটাতে সমস্ত স্তরের মানুষ এগিয়ে আসেন, তার জন্য রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।

Post Comment