নিজস্ব প্রতিনিধি, মানবাজার :
ইচ্ছে থাকলেই সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিকে হার মানানো সম্ভব? দরিদ্রতাকে জয় করে তারই প্রমাণ রাখল সব্যসাচী। মাধ্যমিকে তার দুর্দান্ত রেজাল্ট তাক লাগিয়ে দিয়েছে পুরুলিয়ার মানবাজারের বাসিন্দাদের।
সব্যসাচী কুমার। বারি শশীভূষণ হাইস্কুলের ছাত্র সব্যসাচী। বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সংসারের হাল ধরতে মা কাঁথা সেলাই করেন। সামান্য অর্থ দিয়ে কোনরকমে সংসার চলে তাদের। তার উপর রয়েছে বাবার ওষুধের খরচ। পরিবারের এই পরিস্থিতিতেও মাধ্যমিকে ৬৭২ নম্বর পেয়েছে সব্যসাচী। ৯৬ শতাংশ। চোখে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছে সে। এই নিঃসীম অন্ধকারে মায়ের কাঁথা সেলাই সংসারে কীভাবে সূচ সুতো হয়ে উঠতে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাবে আগামী দিনে, তা নিয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে সব্যসাচী ও তার পরিবার।

সব্যসাচী জানিয়েছে, “বাবা চৈতন্য কুমার বহুদিন ধরে অসুস্থ। দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মা ভারতী দেবীর কাঁথা সেলাইয়ের রোজগারে কোনওমতে তিনজনের সংসার চলে।” ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত বাবা ও মা। গর্বিত এলাকাবাসীরাও। রবিবার সর্বভারতীয় যুব কাউন্সিলের উদ্যেগে সব্যসাচীর হাতে তুলে দেওয়া হল উত্তরীয়, পুষ্পস্তবক, মিষ্টির প্যাকেট । পাশাপাশি মেধাবী পড়ুয়াকে আর্থিক সহায়তা করা হয় কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। এদিন সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য সর্বভারতীয় যুব কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায় সব্যসাচী। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যকর্মী দয়াময় দত্ত, শিক্ষক সন্দীপ মন্ডল, বিভাস রজক সহ বিশিষ্টজনেরা।
Post Comment