insta logo
Loading ...
×

জঙ্গলমহলের ফুলে জলে প্রাণ পাবেন দীঘার জগন্নাথ

জঙ্গলমহলের ফুলে জলে প্রাণ পাবেন দীঘার জগন্নাথ

অমরেশ দত্ত, ছাতনা :

জঙ্গলমহল থেকে যাচ্ছে তিনহাজার তিনটি পদ্ম। শুশুনিয়া পাহাড়ের ধারার জল যাচ্ছে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে।

মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় বাংলায় দীঘা উপকূলে গড়ে উঠেছে জগন্নাথ ধাম। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভক্ষণে সেখানে প্রভু জগন্নাথ দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। প্রাণ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জগন্নাথ মন্দিরের শুভ সূচনা করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দির চত্বর জুড়ে সাজো সাজো রব। এর মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন দীঘায়। রাজ্য সহ রাজ্যেরে বাইরের বহু মানুষ হাজির হচ্ছেন দীঘায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার সেই বিশেষ সন্ধিক্ষণের সাক্ষী হতে। জঙ্গলমহল বাঁকুড়া থেকেও এই পুণ্য মুহূর্তের সাক্ষী হচ্ছেন বহু পুণ্যার্থী৷ বাঁকুড়ার ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির উদ্যোগে বাঁকুড়ার ছাতনা থেকে সাদা ও লাল পদ্ম মিলিয়ে মোট তিন হাজার তিনটি পদ্ম ফুল এবং শুশুনিয়া পাহাড়ের ধারার পবিত্র জল সোমবার রওনা দিল দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্দেশ্যে। ঢাক কাসর ঘন্টা বাজিয়ে, উলুধ্বনি শঙ্খ ধ্বনির আবহে এই পবিত্র ক্ষণকে স্বাগত জানালেন মহিলারা। দীঘা জগন্নাথ মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া পদ্মফুল ও শুশুনিয়া ধারার জল সমেত গাড়িটিকে ঘিরে তাঁদের উচ্ছাস লক্ষ করা গেলো।

ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র বলেন, ” ছাতনা থেকে৷ ৩০০৩টি পদ্মফুল ও শুশুনিয়া ধারার পবিত্র জল নিয়ে দীঘা জগন্নাথ ধামে যাচ্ছি আমরা। প্রভুর প্রাণ প্রতিষ্ঠায় আমরা এগুলি নিবেদন করব। এলাকার সমস্ত মহিলার কাছে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি যাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পবিত্র লগ্নে শঙ্খ ধ্বনি ও উলুধ্বনির মাধ্যমে সেই ক্ষণটিকে উদযাপন করা হয়।”

ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি, বিজেপির মুখেই হিন্দুত্ববাদ। আদতে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ধর্মের রক্ষায় একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দীঘাতে যেমন জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তেমনই কালীঘাটে স্কাইওয়াক হয়েছে। তারাপীঠে হয়েছে অনেক উন্নয়ন।

দেরিতে হলেও চৈতন্য উদয় হয়েছে তৃণমূলের। এমন কটাক্ষ বিজেপির। তৃণমূল নেতার সনাতনী বিজেপি পদ্মফুল নিয়ে জগন্নাথ দেবের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিজেপি।

বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা বলেন, ” খুব ভালো লাগছে। প্রকৃত রাস্তায় হাঁটছে তৃণমূল। একেই বলে ঠ্যালায় পড়লে বিড়াল তরতরিয়ে গাছে ওঠে।”

Post Comment