insta logo
Loading ...
×

পতিত জমিতে সোনা ফলানোর শোভন দাওয়াই

পতিত জমিতে সোনা ফলানোর শোভন দাওয়াই

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :

“এমন সাধের মানবজমিন, আবাদ করলে ফলতো সোনা” সেই কবে লিখে গিয়েছিলেন সাধক রামপ্রসাদ। এবার খরার জেলায় পতিত জমিতে সোনা ফলানোর দাওয়াই বাতলে গেলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

বুধবার পুরুলিয়া সফরে এসেছিলেন মন্ত্রী। এদিন সকাল থেকে তিনি নিতুড়িয়া ব্লকের কৃষি দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন। দীঘা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইনানপুর গ্রামে বিন্দু সেচ প্রকল্প, মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ, ভামুরিয়াতে ফার্ম মেশিনারি ব্যাঙ্ক কৃষি যন্ত্রাদি ভাড়া কেন্দ্র,
হাসাপাথর মাটির সৃষ্টি এলাকাও পরিদর্শন করেন। কৃষি গবেষণা শাখার তরফে খরা সহনশীল জাতের ধান বীজ উদ্ভাবন কার্য মন্ত্রীর প্রশংসা কুড়োয়। মন্ত্রী বলেন, কৃষকেরা যাতে উন্নত জাতের বীজ এবং সার সহজে ও সঠিক মূল্যে পেতে পারে সে বিষয়ে কৃষি আধিকারিকদের নজরদারি বাড়াতে হবে। বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে বৈঠক করেন মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব, দপ্তরের উপ-কৃষি অধিকর্তা (বিশ্বব্যাংক প্রকল্প) মহ: আনিকুল ইসলাম ও নিতুড়িয়া ব্লকের কৃষি আধিকারিক পরিমল বর্মন প্রমুখ।

খরা প্রবণ পুরুলিয়ায় কৃষি পরিকাঠামো গড়ে তোলার বিষয়ে আশ্বাস দেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ” দেশের মধ্যে ফসল উৎপাদনে বাংলা রয়েছে প্রথম স্থানে। ধান এবং পাট উৎপাদনে আমরা প্রথম। আলু উৎপাদনে আমরা দ্বিতীয়।” খরা কবলিত পুরুলিয়ায় পতিত জমিকে চাষযোগ্য করার কাজ শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এদিন মন্ত্রীকে হতবাক করে কয়েকটি তথ্য। মানবাজার ২ নং ব্লকে কৃষি দপ্তরের ভবন-ই নেই জেনে আশ্চর্য হয়ে যান তিনি। এখানে পুরানো বিডিও কার্যালয়ে কোনভাবে চলে কৃষি দফতর। রঘুনাথপুর মহকুমার কৃষি দফতরের অফিসও চলে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা একটি কোয়ার্টারে। অন্যদিকে মানবাজার ও ঝালদা মহকুমা হয়ে গেলেও ওই দুই মহকুমায় এখনও মহকুমা কৃষি দফতর তৈরিই হয়নি। কৃষক কল্যাণে কৃষি গবেষণা শাখা যাতে আগামীদিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সে বিষয়ে জোর দিতে বলেন মন্ত্রী।

Post Comment